
জয় শ্রীরাম স্লোগান না দেওয়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল মুহাম্মাদ শাহরুখ হালদার, সেইসঙ্গে আহত হয়েছিলেন আরও একজন। বুধবার সেই দুজনকেই ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দুজনকে ফোন করেই মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনা জানেন। জয় শ্রীরাম স্লোগান না দেওয়ায় চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল মুহাম্মাদ শাহরুখ হালদার, সেইসঙ্গে আহত হয়েছিলেন আরও একজন। বুধবার সেই দুজনকেই ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, দুজনকে ফোন করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ঘটনা জানেন। শুধু তাই নয়, দু’জনকেই ৫০হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হুগলি যাওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে শিয়ালদাগামী লোকাল ট্রেন ধরেছিলেন শাহরুখ।
২৬ বছরের যুবক জানিয়েছেন, ট্রেনে আগাম কিছু লোকজন চিৎকার করছিলেন। পাশের কামরায় যে কোনও গন্ডগোল চলছে, তা বোঝা যাচ্ছিল। ‘হঠাৎই ওদের কয়েকজন শাহরুখের কামরাতেও চলে আসে।’ পোশাক, মাথায় টুপি ও দাড়ি দেখেই শাহরুখকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে চিহ্নিত’ করা হয় বলে অভিযোগ। শাহরুখের অভিযোগ, ‘আমায় গালিগালাজ করা হয়। প্রতিবাদ করলে প্রচন্ড মারধর করা হয়। ওরা আমায় ঘিরে ফেলে, জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে বাধ্য করতে থাকে।’
তবে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে চাননি মাদ্রাসা শিক্ষক। যার জেরে মারধর বেড়ে যায়। ট্রেন পার্ক সার্কাস স্টেশনে ঢোকার সময় কোনও রকমে পালানোর চেষ্টা করেন শাহরুখ। তবে ব্যর্থ হওয়ায় বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। এরপর চলন্ত ট্রেন থেকেই প্ল্যাটফর্মে ফেলে দেওয়া হয়।
প্ল্যাটফর্মের লোকজন শাহরুখকে উদ্ধার করলে বালিগঞ্জ রেল পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ। ৩৪১, ৩২৩, ৩২৫, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘তদন্ত চলছে। স্টেশনগুলিতে নিরপত্তা বৃদ্ধির বিষয়টিও দেখছে রেল।’ এদিকে, কলকাতা পুলিশও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে প্রকাশিত মিডিয়া রিপোর্টে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

