
একদল মুসলিম এখন এই শহরে মসজিদ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে, যা খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলছেন এর চেয়ে বরং মৃত্যুই তাদের কাছ শ্রেয়। “আকসুম আমাদের মক্কা,” বলছিলেন সিনিয়র ধর্মীয় নেতা গডেফা মেরহা। তাদের বিশ্বাস ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোতে যেমন গির্জা নিষিদ্ধ তেমনি আকসুমেও কোনো মসজিদ থাকতে পারেনা। খবর বিবিসির।
গডেফা বলেন, “আকসুম একটি পবিত্র স্থান। সিটি অফ মনেস্ট্রি”। “এখানে কেউ যদি মসজিদ নির্মাণ করতে আসেন তাহলে আমরা মরব। কখনোই এটা মেনে নেয়া হবেনা। আমাদের জীবদ্দশায় এটা আমরা অনুমোদন করবোনা”। যদিও ‘জাস্টিস ফর আকসুম মুসলিম’ ব্যানার নিয়ে একদল মুসলিম ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।
তারা বলছেন মসজিদ নির্মাণ ও প্রার্থনার সুযোগ পাওয়া তাদের অধিকার। আর মুসলিমদের এ তৎপরতায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে সেখানকার অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা।যদিও সেখানকার অনেকে বিশ্বাস করেন যে এ বিতর্ক অর্থহীন কারণ প্রাচীন এ শহরটি অনাদিকাল থেকেই ধর্মীয় সহনশীলতার জন্য সুপরিচিত। ধর্ম দুটির অনুসারীদের মতে ইসলামের সূচনালগ্নে মক্কায় অমুসলিম শাসকদের অত্যাচারে পালিয়ে প্রথম মুসলিমরা এসেছিলো এই শহরে।
তখনকার খ্রিস্টান রাজা তখন তাদের স্বাগত জানিয়েছিলেন। আর মূলত আরব উপত্যকার বাইরে এটাই ছিলো মুসলিমদের প্রথম কোনো উপস্থিতি। এখন আকসুমের ৭৩ হাজার অধিবাসীর দশ শতাংশই মুসলিম। আর ৮৫ ভাগ হলো অর্থোডক্স খ্রিস্টান। আর পাঁচ শতাংশ খ্রিস্টান ধর্মের অন্য ধারার অনুসারী।
আইএ/পাবলিক ভয়েস

