
সৌদি আরবের প্রথম নারী পাইলট হিসেবে বাণিজ্যিক বিমানের ককপিটে বসেছেন ইয়াসমিন আল মাইমানি। নিয়োগ পাওয়ার পর নিজের ইনস্টাগ্রাম বিষয়টি শেয়ার করেন ইয়াসমিন।
একটি বিমানের ককপিটে বসা অবস্থায় ছবি পোস্ট করে তার নিচে ইয়াসমিন লিখেছেন- ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ, আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ফার্স্ট অফিসার হিসেবে কাজ করার জন্য আমি অনুমতি পেয়ে গেছি।’
বিমান কর্তৃপক্ষের বরাতে এক প্রতিবেদনে সৌদি আরবের গণমাধ্যম জানায়, বিমান চালানোর লাইসেন্স পাওয়ার মোট ছয় বছর পর এবার একজন পরিপূর্ণ বৈমানিক হিসেবে প্লেনের ককপিটে বসার সুযোগ পেলেন তিনি।
এর আগে জর্ডান থেকে বিমান চালানোর যোগ্যতা অর্জন শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৩০০ ঘণ্টা বিমান উড়ানোর প্র্যাকটিস করেছেন ইয়াসমিন।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ইয়াসমিন তার মার্কিন বিমান চালানোর লাইসেন্সের সঙ্গে সৌদির বিমান চালানোর লাইসেন্সকে অদল-বদল করেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ইয়াসমিন তার সকল প্রশাসনিক কাজ শেষ করায় এখন নেসমা এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এয়ারলাইন্সটি বর্তমানে সৌদি এবং মিশরের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে।
যদিও ইয়াসমিনের আগে সৌদি আরবে বিমান চালিয়ে ছিলেন আরও একজন নারী। হানাদি আল-হানাদি নামে এই নারীর জন্ম ১৯৭৮ সালে।
২০০৫ সালে তিনি জর্ডানের মিডল ইস্ট অ্যাকাডেমি ফর কমার্শিয়াল অ্যাভিয়েশন থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করেন। পরে ২০১৪ সালে তিনি সৌদির অ্যাভিয়েশন লাইসেন্স লাভ করেন।
তবে শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট হওয়া হয়নি তার। কেননা সৌদি যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালালের ব্যক্তিগত বিমানের পাইলট হিসেবে ১০ বছরের চুক্তি রয়েছে হানাদির।
সূত্র : আল আরাবিয়া
আইএ/পাবলিক ভয়েস

