
চোখে লোহার রড ঢুকিয়ে, নোড়া দিয়ে দাঁত ভেঙে, আগুনে পুড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বীরভূমের নানুরের মোহনপুর গ্রামে। মৃতার নাম সরবস্বতি মেটে।
বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা সরস্বতি মেটে বছর খানেক আগে বিয়ে হয়েছিল মোহন পুরের বাসিন্দা অমল মেটের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে থেকেই গ্রামেরই অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অমলের।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জানতে পেরে যায় সরস্বতি। প্রতিবাদ করলে শুরু হয় তার ওপর অত্যাচার। দিন দিন সে অত্যাচার বাড়তে থাকে। কিন্তু বাপেরবাড়িতে সেকথা জানায় না সরস্বতি। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলে অশান্ত বর্ধমান, চলল এলোপাথারি গুলি।
সোমবার রাতে আবারও স্বামীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় সরস্বতি। অভিযোগ, তখন স্বামীর কথায় শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও সরস্বতির ওপর অত্যাচার শুরু করে। প্রথমে চোখে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
তারপর নোড়া দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় দাঁত। এখানেই থেমে থাকেনি তারা। সরস্বতিকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পেরেই সরস্বতিকে উদ্ধার করে তার বাপেরবাড়ির সদস্যরা।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার ওপর অত্যাচারের সব কথা জানায় সরস্বতি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় তার। নানুর থানায় সরস্বতির শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
সূত্র: জি নিউজ
আইএ/পাবলিক ভয়েস

