“সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে হাতকড়া কেন পড়ানো হবে না” প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের

প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০১৯
  • ওসি মোয়াজ্জেমকে আদালতে হাজির
  • জামিন আবেদন নামঞ্জুর

পরোয়ানা জারির ২০ দিন পার হওয়ার পর বহু আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি করে ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা ফেনী সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

আদালতে হাজির করার সময় তার হাতে কেন “হাতকড়া” ছিলো না এ প্রশ্ন রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি ও মোয়াজ্জেমকে দ্রুত গ্রেফতারের আবেদন জানিয়ে আদালতে রিট আবেদন করা ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

তিনি বলেন, আমি পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই ফেনীর নুসরাত জাহান রাফিকে থানায় নিপিড়ন করা সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করায়। কিন্তু তাকে আদালতে হাজির করার সময় তার হাতে কেন হাতকড়া ছিলো না এ প্রশ্ন রাখতে চাই।

তিনি বলেন, যেহেতু সাধারণ জনগণকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হলে তাদের হাতে হাতকড়া থাকে তাই আসামি হিসেবে মোয়াজ্জেমের হাতেও হাতকড়া থাকা যুক্তিযুক্ত ছিলো। যেহেতু তাকে হাতকড়া পড়ানো হয়নি তাই সাধারণ জনগনকেও যেন হাতকড়া পড়িয়ে আদালতে হাজির না করা হয় এমন দাবি রাখছি।

এদিকে আদালতে প্রবেশের সময় সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম মাথা নিচু করে আদালতে প্রবেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন অনেকে।

প্রসঙ্গত : নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়ানোর মামলায় গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেননি আদালত। সেই সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেনের আদালতে তার জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী মাসুমা আক্তার।

এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে হাজতখানায় রাখা হয়।

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে গত ৬ এপ্রিল পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নুসরাতের।

৬ এপ্রিলের দিন দশেক আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে সোনাগাজী থানায় যান নুসরাত।

থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ওই সময় নুসরাতকে আপত্তিকর প্রশ্ন করে বিব্রত করেন এবং তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।

ওই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে সেটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরোয়ানা জারির দুদিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

মন্তব্য করুন