
দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু মিছিলের তালিকা৷ ভারতের বিহার প্রদেশে এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা বেড়়ে দাঁড়াল ৯৬৷ মুজফ্ফরপুর ঘিরে কান্নার রোল৷ বিহারের ১২টি জেলার ২২২টি ব্লক অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমের সংক্রমণ অব্যাহত৷ সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মুজফ্ফরপুর ও সংলগ্ন এলাকায়৷ এনসেফেলাইটিসে (এক ধরণের মারণ রোগ) মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
এ পর্যন্ত বিহারে এনসেফেলাইটিসে ৯৬ জনের। বেসরকারি সূত্রে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। জ্বর, মাথাব্যথার মতো এনসেফেলাইটিসে একাধিক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৫০ জন৷
বিহারের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুজফ্ফরপুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। কেন্দ্রের চিকিত্সকদের একটি দল বিহারের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন৷
কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা খোঁজখবর নেন মুজফ্ফরপুরের হাসপাতালের। এই টিমের প্রধান ডঃ অরুণ বলেছেন, ‘‘আমরা সব কিছু খতিয়ে দেখছি। আমাদের রিপোর্ট আমরা বিহার সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে জমা দেব।’’
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রশাসন এই রোগকে এনসেফেলাইটিস বলে মানতে নারাজ৷ বিহারের স্বাস্থ্য দজফতরের আধিকারিকদের মতে রক্তে শর্করা অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যাওয়ার দরুনই এই মৃত্যু৷ অনেকেই আবার মনে করছেন ব্রেনডেথের ফলে মারা গিয়েছেন এত মানুষ
এনসেফেলাইটিস কী? বক, শূকর আর বিশেষ ধরণের কিউলেক্স মশা। একসঙ্গে এই তিনের উপস্থিতিই ছড়িয়ে দিতে পারে মারণ রোগ এনসেফেলাইটিস। প্রাথমিকভাবে আর পাঁচটা সাধারণ জ্বরের উপসর্গ নিয়ে এলেও দ্রুত এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মস্তিস্কে।
সূত্র: কলকাতা নিউজ
আইএ/পাবলিক ভয়েস

