মোয়াজ্জেম গ্রেফতার হওয়ায় ব্যারিস্টার সুমনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল

প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৭, ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজী আলিয়া মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার আসামী সোনাগাজী থানার ওসি (প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রেফতার হওয়ায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল করেছে ব্যারিস্টার সুমনের এলাকা সিলেটের চুনারুঘাটের জনগণ।


ব্যারিস্টার সুমন ওসি মোয়াজ্জেম গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে জোড়ালো ভূমিকা রাখায় সর্বমহলে প্রশংসিত হওয়ার ধারাবাহিকতায় এই মিছিল হলো।

জানা যায়, মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতারের বিষয়ে আদালতে রিট আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। যে রিট আবেদনের রায়ে আদালত মোয়াজ্জেমের গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছিলো।

প্রসঙ্গত : মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সৈয়দ সায়েদুল হক  সুমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেছিলেন।

গত ১৫ এপ্রিল সাইবার আদালতে এ আবেদন করেছিলেন তিনি। পরবর্তিতে পিবিআই তদন্তে ওসি মোয়াজ্জেমকে দোষী সাব্যস্থ করার পর ব্যারিস্টার সুমন বলেছিলেন,

মোয়াজ্জেমের নৈতিক অধিকার নেই পুলিশ ডিপার্টমেন্টে থাকার।

আদালতে করা রিট আবেদনে বলা হয়েছিলো, সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর পর মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে।

২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে অধ্যক্ষ শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে দুজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন।

ওসি নিয়ম ভেঙে জেরা করতে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন। মৌখিক অভিযোগ নেয়ার সময় দুই পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও সেখানে নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না।

ভিডিওটি প্রকাশ হলে অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে ওসির সখ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, থানার ওসির সামনে অঝোরে কাঁদছিলেন নুসরাত। আর সেই কান্নার ভিডিও করছিলেন সোনাগাজী থানার ওসি।

নুসরাত তার মুখ দু’হাতে ঢেকে রেখেছিলেন। তাতেও ওসির আপত্তি। বারবারই ‘মুখ থেকে হাত সরাও, কান্না থামাও’ বলার পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘এমন কিছু হয়নি যে এখনও তোমাকে কাঁদতে হবে।’

গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ।

ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান।

এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান।

সেখানে মুখোশ পরা ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন : নুসরাতের কবরের পাশে ব্যারিস্টার সুমন; দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার

মন্তব্য করুন