

কনজারভেটিভ দলের দীর্ঘদিনের সদস্য মোহাম্মদ আমিন দলের নেতৃত্ব লাভের পথে এগিয়ে থাকা বরিস জনসনকে একজন ভাঁড় বলে আখ্যায়িত করেন। জনসন যেভাবে নিজের স্বার্থে নিকাব ও হিজাব পরা মুসলিম মহিলাদের উপহাস করেছেন, আমিন তার সমালোচনা করেন।
মোহাম্মদ আমিন বলেন, আমাদের রাজনীতিকরা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাধু হবেন এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। কিন্তু আমরা তাদের কাছে মৌলিক পর্যায়ের নৈতিকতা ও সততা আশা করি। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনের সকল প্রার্থীর মধ্যে বরিস জনসন একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হবেন।
যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ মুসলিম ফোরামের চেয়ারম্যান এডলফ হিটলার ও বরিস জনসনের মধ্যে তুলনা টেনে বলেছেন, বহু ভয়ঙ্কর মানুষ আছেন যারা জনপ্রিয়। তিনি বলেন, যদি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হন তাহলে তিনি টোরি পার্টি ত্যাগ করবেন।
মোহাম্মদ আমিন দাবি করেন, লন্ডনের দুই বারের মেয়র গত বছরের আগস্টে বোরকা পরিহিতা নারীদের লেটার বক্স ও ব্যাংক ডাকাতদের সাথে তুলনা করে তাদের ঝুঁকির মুখে ফেলে দেন।
তিনি বলেন, বরিস জনসন ঠিকই জানতেন এর কি প্রভাব পড়বে। এটা নিকাব ও বোরকা পরা মুসলমান নারীদের রাস্তায় মৌখিক অপমান, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে শারীরিক হামলার শিকার করে, কোনো কোনো স্থানে লোকজন তা ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। তিনি তার নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিকাব ও বোরকা পরিহিতা মুসলমান নারীদের সাথে উপহাসের পথ বেছে নেন।
তিনি বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে বলেন, তার মত লোককে যে দলের নেতা করা হয় সে দলের সদস্য থাকতে আমি প্রস্তুত নই। তা করা হলে ৩৬ বছরের দল থেকে আমি পদত্যাগ করব।
দলের সদস্যদের মধ্যে জনসনের জনপ্রিয়তা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বহ ভয়ঙ্কর লোক আছেন যারা জনপ্রিয় হয়েছেন। জনপ্রিয়তা কোনো পরীক্ষা নয়। পরীক্ষা হচ্ছে মানুষটি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নৈতিকভাবে যথেষ্ট যোগ্য কিনা। আমার বিশ্বাস, তিনি এ পরীক্ষায় ব্যর্থ হবেন।
জনসনের জনপ্রিয়তাকে মোহাম্মদ আমিন নাজি স্বৈরশাসক হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, বহু জার্মান মনে করে যে হিটলার তাদের জন্য সঠিক ব্যক্তি ছিলেন।
এই তুলনাকে দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করে মোহাম্মদ আমিন বলেন, আমি এটা বলছি না যে বরিস জনসন লোকজনকে গ্যাস চেম্বারে পাঠাতে চান। সুস্পষ্ট কথা তিনি তা করবেন না। তিনি একজন ভাঁড়। কিন্তু আমি যতটা জানি, সত্যের জন্য তার উদ্বেগ যথেষ্ট নয়। তাই তিনি নেতৃত্ব দিলে আমি আর সে দলে থাকতে পারি না।
যেসব কাউন্সিলর ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন তাদের সাসপেন্ড করার জন্য কনজারভেটিভরা চাপের মুখে ছিলেন। গত মাসে আমিন বলেন, মুসলিম বিরোধী বিদ্বেষ প্রচারের ক্ষেত্রে দলের শৃঙ্খলামূলক প্রক্রিয়ায় তিনি আস্থা হারিয়েছেন।
আইএ/পাবলিক ভয়েস