প্রস্তাবিত বাজেট দুর্নীতির বার্ষিক বরাদ্দপত্র: পীর সাহেব চরমোনাই

প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৯

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট দুর্নীতির বার্ষিক বরাদ্দপত্র


২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে দুর্নীতির বার্ষিক বরাদ্দপত্র বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।

জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিশাল অংকের বাজেট দিয়ে অর্থমন্ত্রী গৌরববোধ করলেও সাধারণ জনগণ এর কতভাগ সুফল পাবে তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

বাজেট প্রস্তাবনায় কথার ফুলঝুরি ও মিথ্যা আশ্বাসে ভরা লোক দেখানে মনতুষ্টির নিষ্ফল প্রয়াস চালানো হলেও একথা স্পষ্ট যে, বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটেও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের লুটপাটের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া জনগণের ট্যাক্সের টাকায় দেশ-বিদেশী লুটপাটকারীদের পকেট ভারী করার বাজেট। এবারের বাজেটে পরোক্ষ করের পরিমাণ ও মাত্রা বাড়িয়ে এবং বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাঁদে বিশাল ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

বাজেটের বিশাল অংশ সরকারদলীয় এমপি ও নেতাকর্মীদের পকেটে যাবে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন পীর সাহেব চরমোনাই। বাজেটে বরাবরের মত কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় দুর্নীতিকে আরো উৎসাহিত করা হবে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, এ বছরের বাজেটে জনগণের উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে, যা জনগণকে চরমভাবে নিস্পেষণ করার নামান্তর। জনগণের উপর করের বোঝা চাপানোর চক্রান্ত চলছে। অন্যদিকে দেশবান্ধব বাজেটের পরিবর্তে দলবান্ধপ বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বর্তমান সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা কত বেশি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। আর এ দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের রক্ষার কথা মাথায় রেখেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এ বাজেটে গণমানুষের প্রত্যাশা পুরণ হয়নি। ধনী ও সুবিধাভোগী শ্রেণির কথা চিন্তা করেই এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হবে না।

প্রস্তাবিত বাজেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নতুনভাবে ঋণ ও করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই বাজেটের কারণে অর্থনীতি পুরোপুরি ঋণনির্ভর হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এইচআরআর/এসএস

মন্তব্য করুন