
ভয়েস ডেস্ক: নারীদের বোরকা ও মোজা পড়া নিয়ে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা ও নিন্দা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।
গণমাধ্যমে দেয়ােএক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি দেয়া বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও কটাক্ষপূর্ণ। তিনি এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, পর্দা শরীয়তের অন্যতম বিধান। হাত-পা ও মুখ ঢেকে রাখা খাছ পর্দানশীন নারীদের পোষাক। প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন জাতীয় অভিভাবক হিসেবে তার মুখে এধরণের বক্তব্য মানায় না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতি আরো দায়িত্বশীল বক্তব্য কামনা করে।
সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, একজন মুসলিম নারী কেমন পোশাক পরবে এটা তার অধিকার। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী হয়ে নারীর পোশাক নিয়ে ব্যাঙ্গ করতে পারেন না। এটা নারী অধিকারের পরিপন্থী।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এধরণের দায়িত্বহীন বক্তব্য মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। পর্দা নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও হেয় প্রতিপন্ন করা নারী নির্যাতন ও ইভটিজিংকে নতুন করে উসকে দেবে।
তিনি বলেন, ইভটিজিং, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধে শালীন পোষাকের প্রতি উদ্বুদ্ধ না করে খাছ পর্দানশীন নারীদের মোজা ও নেকাব নিয়ে এই কটুক্তি দেশে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পর্দা নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেশবাসীকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। পীর সাহেব- ‘পর্দানশীন নারীদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান’।
প্রসঙ্গ, সম্প্রতি ত্রিদেশী সফর শেষে গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এক পর্যায়ে বলেন, ‘হাত মোজা, পা মোজা, নাক-চোখ ঢেকে, একেবারে, এটা কী? জীবন্ত ট্যান্ট (তাবু) হয়ে ঘুরে বেড়ানো- এর তো কোনো মানে হয় না’।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য নিয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা সৃষ্টি হয়। অনেকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী একজন জাতীয় অভিভাবক হয়ে কারো পোশাকের স্বাধীনতায় ব্যাঙ্গ করতে পারেন না।
/এসএস

