অপরাধের সঙ্গে যেই জড়িত হোক তাকেই শাস্তি পেতে হবে। সে ওসি হোক কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হোক আর জনপ্রতিনিধি হোক। ওসি মোয়াজ্জেমকেও আইনের আওতায় আসতে হবে। পালিয়ে তার রক্ষা হবে না।
মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে হত্যার জন্য ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন যতটুকু অপরাধ করেছে এর জন্য তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
রোববার (৯ জুন) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, নুসরাত জাহানকে হত্যার ঘটনায় মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চার্জশিটে তার নামও এসেছে। পালিয়ে গেলে খুঁজে পেতে হয়তো একটু সময় লাগবে। তবে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।
এদিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম কথা বলছে। একপ্রকার লুকোচুরি করছে পুলিশ। আদালত মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
পুলিশের পক্ষ গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রাপ্তির কথা প্রথম থেকে অস্বিকার করা হয় এবং এড়িয়ে যাওয়া হয়। এরইমধ্যে খবর পাওয়া যায় ওসি মোয়াজ্জেম পালাতক।
গত ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে ওই দিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ৩১ মে পরোয়ানার চিঠি ফেনীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী মনির-উজ-জামান বারবার বিষয়টি অস্বীকার করতে থাকেন।
একপর্যায়ে ৩ জুন রাতে পরোয়ানা হাতে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। এর দুইদিন পর বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে পরোয়ানা রংপুর রেঞ্জে পাঠানো হয়। এখন আবার রংপুর রেঞ্জ বলছে, কাজটি বিধি মোতাবেক হয়নি।
পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা রংপুরে এসেছে। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। পরোয়ানাটি সোনাগাজী থানার ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে। রংপুরে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করা হয়নি। বিধি মোতাবেক কাজ করার জন্য তিনি ফেনীর পুলিশকে জানাবেন।
এদিকে পরোয়ানা জারির দুইদিন পর মোয়াজ্জেম হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে ১১ জুন।
/এসএস
