
অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতা ও ইয়াবা গডফাদার হিসেবে অভিযুক্ত হাজী সাইফুল করিম (৪৫) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইফুল টেকনাফ শিলবুনিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হানিফ ওরফে হানিফ ডাক্তারের ছেলে ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সকল গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার প্রধান ইয়াবা গডফাদার এবং দেশের এক নম্বর মাদক ব্যবসায়ী। তিনি টেকনাফ থানার কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি।
টেকনাফ থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ফখরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কেরুনতলী এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সাইফুল করিম মারা গেছে।
তিনি বলেন, উল্লেখ করেন, সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১৫/৩৩৬, তারিখ- ৫ মে, ২০১৯; ধারা-১৯ (ধ)/১৯(ভ) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন; টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১৫/৩৩৭, তারিখ- ৫ মে, ২০১৯; ধারা-৩৬(১) এর ১০(গ)/৪১ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮; চট্টগ্রামের ডবলমুরিং মডেল থানার এফআইআর নং-৫৬, তারিখ- ৩০ এপ্রিল, ২০১৯; ধারা-৪ (২) ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন; তৎসহ ২৬ (২)/২৭ (১) ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন; টেকনাফ থানার এফআইআর নং-৪৩/৬৮২, তারিখ- ৯ নভেম্বর, ২০১৮; ধারা-১৯(১) এর ৯(খ)/২৫ ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন; টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১০, তারিখ- ৩ মে ২০১৯; ধারা-১৯ (অ)/১৯(ভ) ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন; টেকনাফ থানার এফআইআর নং-১১, তারিখ- ৩ মে ২০১৯; ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) এর ১০ (গ)/৪১; চট্টগ্রাম সিএমপি হালিশহর থানায় ১৩ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলা নং- ১(৫)১৮, ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯ (খ)/২৫/৩৩ (১) এর অস্থিত্ব পাওয়া যায়।
এছাড়াও আজকের ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি। ঘটনার পর থেকে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

