

ইসরাইলের রাজনৈতিক আকাশে ফের ঘনঘটা৷ পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থামতেই হল বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে৷ সরকার গড়তে ইজরায়েলি আইনসভায় পর্যাপ্ত আসন না পাওয়ায় নতুন করে জাতীয় নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছেন সমকালীন বিশ্বের অন্যতম নেতা৷
ভারতে দ্বিতীয়বার বিপুল ক্ষমতা নিয়ে ফিরেছে বিজেপি তথা এনডিএ৷ আর প্রধানমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বারের জন্য বৃহস্পতিবার শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী৷ যিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বলেই সুপরিচিত৷ ইসরাইলের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহু সরকার গঠনে ব্যর্থ হলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, গত মাসে জাতীয় নির্বাচন হয় ইসরাইলে৷ এই নির্বাচনে সবথেকে বেশি আসন পায় নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন লিকুদ পার্টি৷ একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত লিকুদ পার্টির জোট শেষপর্যন্ত সরকার গঠন করতে পারেনি।
দেশটির সংবিধান অনুসারে, নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার গঠনের সময়সীমার মধ্যে সরকার গঠিত না হলে আইনসভা ভেঙে দেওয়া হয়৷ সেই নিয়মে ৭৪-৪৫ ভোটের ব্যবধানে পাস হয়েছে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব।
এপি, আল জাজিরাসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের এনডিএ সরকারের সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সম্পর্ক গতি পেয়েছে৷
সামরিক ও অন্যান্য খাতে ভারতকে দেওয়া ইসরাইলের সাহায্য লক্ষণীয়৷ মোদি ও নেতানিয়াহুর সম্পর্ক নিয়েও বিশ্ব রাজনীতি বহু চর্চিত৷
বিবিসি আরও জানিয়েছে, ইসরাইলে টানা চারবার ক্ষমতায় থাকা লিকুদ পার্টি গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১২০টি আসনের মধ্য ৩৫টিতে জয়ী হয়৷ এরফলে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন নেতানিয়াহু।
কিন্তু বৃহত্তম হলেও সরকার গড়ার ক্ষমতা এককভাবে ছিল না তার৷ প্রয়োজনীয় সদস্য সংখ্যার জন্য নেতানিয়াহু হাত বাড়িয়েছিলেন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগডোর লিয়েবারম্যানের ন্যাশনালিস্ট ইসরাইল বেইটেনু পার্টির দিকে৷ তবে তাদের মধ্যে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত সমঝোতা হয়নি৷
আইএ/পাবলিক ভয়েস