

হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ার মহিলাদের যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করে পরে বেচে দেওয়া হয়েছে চীনে। কোরিয়া ফিউচার ইন্সভেশটিগেশন নামে এক বেসরকারি সংস্থা এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। দু’বছর ধরে অভিযান চালিয়ে সংস্থাটি এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে বলে জানিয়েছে কলকাতা নিউজ।
অত্যাচার-নিপীড়ন সহ্য করে বেঁচে রয়েছেন ওই সমস্ত মহিলারা। তাদের মধ্যে অনেকে পালাতেও চেষ্টা করেন। উত্তর-পূর্ব চিনে এই পতিতাবৃত্তি বেশি পরিলক্ষিত হয়। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৯ বছরের কম বয়সী মেয়েদের যৌনকর্মে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হয়।
চিন ও দক্ষিণ কোরিয়াতে বসবাসকারী ৪৫ জন ব্যক্তির সাথে সাক্ষাতকার নিয়ে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর কমপক্ষে ১০৫ মিলিয়ন সমপরিমান অর্থ আসে এই এই পাচার কাজ থেকে।
কেএফআই জানায়, প্রায় দু’লক্ষ উত্তর কোরিয়ান রয়েছেন চিনে। যার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। ৬০ শতাংশ মহিলাকেই যৌনকর্মের জন্য বেচে দেওয়া হয়েছে চিনে।
উত্তর কোরিয়ার চংজিন সিটি থেকে এমএস পইন নামে এক মহিলা প্রতিবেদনে বলেন, “ছ’জন উত্তর কোরিয়ান মহিলার সঙ্গে আমাকেও একটি হোটেলে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের খাবার দেওয়া হত না এবং পাশবিক অত্যাচার করা হত। আট মাস পর আমাদের মধ্যে অর্ধেক জনকে আবার বিক্রি করা হয়। সেই সময় পাচার কাজে জড়িত দালালও আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিল।”
গত নভেম্বরে প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়াতে যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক হিংসতা বেশি মাত্রায় মাথাচারা দিয়ে উঠেছে এবং উত্তর কোরিয়ান মেয়েদের পাচার প্রতিরোধে চিনকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান হয়েছে।
আইএ/পাবলিক ভয়েস