
অস্ত্র ও মাদকের গডফাদার হিসেবে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বংশাল থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী।
আজ সোমবার (২০ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে আব্দুস সালাম নামের ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারায় বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান এবং একই থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাছেন ও এএসআই অমিত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৯ জুন প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৪ মে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বাদীর ভাই সাবের মিয়াকে আসামিরা তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে জানিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে থানায় নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন বাদী তাদের কাছে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখতে চাইলে তারা তা দেখাতে ব্যর্থ হন।
এরপর আসামি অমিত বলেন, সাবের মিয়া একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাকে ক্রস ফায়ার দেওয়ার নির্দেশ আছে- বলে বাদী ও তার ভাইকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। এরপর আসামি হাছেন তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
‘তখন বাদী এবং তার ভাই বলেন, তাদের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব না। একপর্যায়ে আসামি হাছেন ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা না দিলে বাদীকে অস্ত্র এবং মাদকের গডফাদার বানিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। প্রাণ রক্ষার্থে তারা আসামিদের ২ লাখ টাকা দিতে সম্মত হন।’
মামলার অভিযোগ আরও বলা হয়, আসামিরা সাবের ও তার ভাইকে ডিআইটি মার্কেটের ৫ নং বিল্ডিং এর নীচতলা হাজী আক্তার মিয়ার দোকানের সামনে আসতে বলেন। এরপর সেখানে গিয়ে তাদের ২ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়া হয়।
ঘুষ লেনদেনের আংশিক ঘটনা বাদীপক্ষের মোবাইলের ভিডিওতে ধারণ করা আছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন তারা।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

