
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক কিশোরীকে (১৫) তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ঘোষেরচর এলাকার মো. আদারি খানের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩১), জালালপুর গ্রামের দেলোয়ার খানের ছেলে ফয়সাল খান (১৮), হযরত আলী সরদারের ছেলে রনি সরদার (২৪) এবং পশ্চিম তেরচর গ্রামের বজলু সিকদারের ছেলে রাব্বী সিকদার (১৮)।
গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর স্বজনরা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দড়িচর লক্ষ্মীপুর গ্রামের ওই কিশোরী গতকাল সোমবার সকালে পাইতিখোলা এলাকায় মামা বাড়িতে বেড়াতে যায়। পূর্ব-পরিচয়ের সূত্র ধরে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ঘোষেরচর গ্রামের আদারি খানের ছেলে ইজিবাইক চালক নজরুল ইসলাম খান কথা আছে বলে ওই কিশোরীকে ইজিবাইকে ওঠায়। পরে সহযোগীদের নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কিশোরীকে পাশের ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের রহিম ক্বারীর কলাবাগানে নিয়ে যায়।
সেখানে তার সহযোগী ফয়সাল খান, রাব্বী সিকদার, রনি সরদার ওই কিশোলীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা ওই কিশোরীর চিৎকার শুনে তিন ধর্ষককে আটক করে। সেই সঙ্গে কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয় দফাদার আবু হানিফ ও চৌকিদার আমিনুল ইসলামের হাতে তুলে দেয়। দফাদার ও চৌকাদার ধর্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেয় এবং কিশোরীকে তাদের জিম্মায় রেখে থানায় সংবাদ দেয়।
মুলাদী থানা পুলিশের ওসি মো. জিয়াউল আহসান বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে মুলাদী থানা পুলিশ জালালপুর গ্রামে পৌঁছে গণধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে। এরপর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মুলাদী থানা পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত চার যুবককে গ্রেফতার করে।
এদিকে, সংবাদ পেয়ে বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

