
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) নামে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ আসামির প্রত্যেককে আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (৮ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল মামুন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি-তদন্ত) সানোয়ার জাহান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও আঘাতজনিত কারণে ওই তরুণীর মৃত্যুর আলামত মিলেছে। এছাড়া ডিএনএ ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড ওই তরুণীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। পরে রাতেই তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তানিয়ার বড় ভাই মরদেহ বুঝে নেন।
এর আগে কটিয়াদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পার্থ শেখর ঘোষ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন। এতে তানিয়ার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
গত সোমবার (৬ মে) রাতে শাহিনুর আক্তার ওরফে তানিয়ার ঢাকা থেকে বাসে করে বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার গজারিয়া-জামতলী এলাকায় ওই তরুণী ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
এ ঘটনায় বাসের চালক নূরুজ্জামান (৩৯) ও হেলপার (সহকারী) লালন মিয়াসহ (৩৩) মোট পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা বলছেন, সব যাত্রী নেমে যাবার পর তানিয়া নিজেকে একা দেখে চলন্ত বাস থেকে দৌড়ে নেমে যাচ্ছিলেন। এসময় হেলপার বাধা দিলে তিনি বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন।
নিহত তানিয়া উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

