
কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার এলাকার অভিজাত আবাসিক হোটেল ক্যাসেল সালামে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় আট জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করা হয়েছে। পরে ওই আট যুগলের কাছ থেকে অর্থদণ্ড আদায়ের পর ছেড়ে দেয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুল আলম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ১৬ জনের প্রত্যেককে বিভিন্ন অংকের অর্থদণ্ড দেন। পরে অর্থদণ্ড আদায়ের পর তাদের সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ১৬ জনের প্রত্যেককে বিভিন্ন অংকের অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শহরের বড়বাজার এলাকার অভিজাত আবাসিক হোটেল ক্যাসেল সালামে অভিযান চালায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। অভিযানে হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৮ তরুণ এবং ৮ তরুণীকে আটক করা হয়।
ওসি আবুবকর সিদ্দিক বলেন, অভিযানের সময় যাদের আটক করা হয়েছিল তাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অভিযানের আগে তারা বুঝতেই পারেননি আবাসিকের আড়ালে হোটেলটিতে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। আবাসিক হোটেলে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, ক্যাসেল সালামের মতো শহরের অভিজাত একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ প্রেমিক-প্রেমিকা আটক হওয়ার বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে সমালোচনা।
রোজা শুরু হওয়ার আগের সন্ধ্যায় এরকম একটি অভিযান পরিচালনা করা জন্য সচেতন মহল পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় আবাসিক হোটেলগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

