চাঁদাবাজির অভিযোগে এসআই প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৮, ২০১৯

হয়রানি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই জেসমিন আক্তারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। একইসাথে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এসআই জেসমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার।

টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই জেমসমিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগে গত শনিবার রাতে থানা ঘেরাও করে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেলতা গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ। এসময় এলাকাবাসী এসআই জেসমিনের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাত ৯টার দিকে থানা চত্বর ত্যাগ করে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছুদিন আগে বেলতা গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নামে টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই জেসমিনের সোর্স পরিচয়ে আবু বাক্কার নামে একজন স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে হত্যা মামলায় আসামি করার হুমকি দেয়া হয়।

এছাড়াও গ্রামের মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। একইভাবে শনিবার বিকেলের দিকে ওই সোর্স বেলতা গ্রামের হাজী আয়নাল হোসেনের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ওই হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হবে বলে শাসানো হয়। এ ঘটনায় গ্রামবাসী আবু বাক্কারকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে এসআই জেসমিন তাকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী তাকেও ঘিরে ধরে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে।

পরে সন্ধ্যার পর গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে এসআই জেসমিনের বিচার চেয়ে থানা ঘেরাও করে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, এসআই জেসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার কারণে তাকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জিআরএস/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন