

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার এক ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিকেএম এনামুল করিমের নেতৃত্বে তার কার্যালয়ে মাদ্রাসার গভর্নিং বডির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা ছাড়াও সভায় আরও ছয়টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. ওই ছাত্রীর চিকিৎসা সহযোগিতার জন্য মাদ্রাসা তহবিল এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা অনুদান দেওয়া। ২. অগ্নিসংযোগকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার এবং আদালতে সোপর্দ করার জন্য মাদ্রাসার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা। ৩. মাদ্রাসার নিরাপত্তার জন্য দ্রুত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা। ৪. মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া। ৫. আলিম পরীক্ষা চলার সময় শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা। ৬. পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা গভর্নিং সভাপতি রুহুল আমিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল আমিন, গভর্নিং সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি তিনজন ও অভিভাবক সদস্য দুই জন।
প্রসঙ্গত : মাদরাসা অধ্যক্ষ লম্পট সিরাজউদ্দৌলা অগ্নীদগ্ধ হওয়া মেয়েটিকে এর আগে মাদরাসার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেন ভূক্তভোগী মেয়েটি। এরপর তাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে মাদরাসা অধ্যক্ষ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। গত শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সেই ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জেলা সদর হাসপাতাল, সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ছাত্রী এখন ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আইসিউতে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।