নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষার ফলে মানুষ ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে: পীর সাহেব চরমোনাই

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৯
নাটোরের দিঘাপতিয়া ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মুফতী সৈয়দ মুহামম্দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলাম, দেশ ও মানবতা আজ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষার ফলে মানুষ ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে। সমাজের সর্বত্র মাদকে সয়লাব হয়ে গেছে। যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পরিবারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তিনি আফসোস করে বলেন, আলিয়া মাদরাসায়ও ছাত্রী নিপীড়নের মত ঘটনা ঘটছে। ফেনীতে ফাযিল পরীক্ষার্থী ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করায় তাকে সন্ত্রাসী দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়ার মত ঘটনা অভিভাবক মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। এইচএসসি পরীক্ষায় বিভিন্ন কলেজে ছাত্রীদেরকে বোরকা পড়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এধরণের ঘটনা আমাদেরতে মর্মাহত ও ব্যথিত করছে। তিনি বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম নিয়ে বেচে থাকাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এমতাবস্থায় ঈমানদার মানুষ নিরবে বসে থাকতে পারে না।

তিনি গতকাল রাজশাহী বিভাগের নাটোর দিঘাপতিয়া কলেজ ময়দানে ৩দিনব্যাপী বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনের শেষদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ স্থানীয় বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকায় মানুষের কষ্টের অন্ত নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। এসব থেকে বাচতে ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেননা ইসলাম সার্বজনীন ও কালজয়ী আদর্শ। তিনি বলেন, সরকার সুকৌশলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে দিয়ে ওলামায়ে কেরামের কন্ঠরোধ করার পদক্ষেপ নিেেয়ছে। মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীমকে ভ্রিান্ত আলেমদের তালিকায় নেয়া ইসলামের বিরুদ্ধে গভীল ষড়যন্ত্র। এ থেকে ফিরে আসতে হবে।

মন্তব্য করুন