

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে স্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী বেন্টন টরেন্টের এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত কিশোরগঞ্জের তরুণী সাজেদা আক্তার লিপির শারীরিক অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।শুক্রবার (৬ এপ্রিল) ভোরে তিনি প্রথমবারের মতো কথা বলতে পেরেছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে নিউজিল্যান্ডে থাকা লিপির দেবর খোকন মিয়া গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
খোকন বলেন, লিপি কথা বলতে পারছেন এবং আশঙ্কামুক্ত। তবে তিনি কখনো হাঁটতে পারবেন না। হুইল চেয়ারে করে তাকে চলাফেরা করতে হবে।
গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজ আদায় করতে স্বামী মাসুদ মিয়ার সঙ্গে এক গাড়িতেই ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে গিয়েছিলেন সাজেদা আক্তার লিপি। এসময় বন্দুকধারীর হামলার অলৌকিকভাবে স্বামী মাসুদ মিয়া প্রাণে বেঁচে গেলে ঘাতকের বুলেটে এফোঁড়-ওফোঁড় হন সাজেদা আক্তার লিপি।
এরপর সেখান থেকে লিপিকে উদ্ধার করে হাসপাতালের আইসিইউতে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি করা হয়। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর গত ২৩ মার্চ জ্ঞান ফিরলেও তিনি কথা বলতে পারছিলেন না।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করার সময় মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় স্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারান্ট। এতে ৫০ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন বাংলাদেশি।
হামলাকারী সন্ত্রাসী নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন সমর্থক হিসেবে তুলে ধরে তার মেনিফেস্টোতে লিখেছিলো ’পূনরুজ্জীবিত শ্বেতাঙ্গ পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে’ বললে আমি অবশ্যই ট্রাম্পের একজন সমর্থক।
আইএ/পাবলিক ভয়েস