

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলা উত্তর সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খাঁন ও সেক্রেটারী মুহাম্মদ হাসমত আলী এক বিবৃতিতে আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে তরুণী ধর্ষণ-এর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আজ ২৯ এপ্রিল এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, মানুষের নৈতিক চরিত্র কোন পর্যায়ে গেলে চলন্তবাসে মায়ের জাতি নারীদের ধর্ষণ করতে পারে? নৈতিকতার চরম অবক্ষয়ের কারণে সর্বত্র নারীদের অধিকার ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে মা-বোন, শিশুরাও আজ কোথাও নিরাপদ নয়। নেতৃদ্বয় বলেন, আইন আছে, আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না থাকায় সর্বত্র মানুষ অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠছে মানুষ। দোষীরা আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বের হয়ে যেতে পারায় অপরাধ ঠেকানো যাচ্ছে না।
তারা বলেন, এর আগেও এধরণের অনেক ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির আওতায় না আনার কারণে এধরণের ঘটনা বেড়েই চলছে। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এহেন অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতকরণের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তারা নৈতিকতা বিবর্জিত পরিস্থিতি থেকে ছাত্র যুব সমাজকে উদ্ধারে রাষ্ট্রীয়ভাবে নৈতিকতা শিক্ষা এবং শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিক। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তাই অবিলম্বে সবধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
এন.এইচ/