

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের প্রতি সমবেদনা জানাতে লন্ডনে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের শান্তি ও স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে এ সমাবেশে ইয়াহুদিদের একটি গ্রুপও অংশগ্রহণ করে এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন ও মানবিক সংকট নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।। খবর মিডলইস্ট মনিটর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমনীতি ঘোষণার পর থেকেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ জারি রয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে চলা এ প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলেও ওই খবরে বলা হয়েছে।
গত ৩১ মার্চ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলিমদের প্রতি সংহতি ও সমবেদনা প্রকাশে এবং ইসরাইলের অন্যায়ের প্রতিবাদে লন্ডনে হাজারো মানুষের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লন্ডনের সমাবেশের আগের দিন ৩০ মার্চ আমেরিকার নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারেও হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে এবং ইসরাইলের অন্যায় দখলদারিত্ব ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিশাল এক সমাবেশে একত্রিত হয়।
দ্য প্যালেস্টাইন ফোরাম ইন ব্রিটেন (পিএফবি) ও প্যালেস্টাইন সোলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসসি) ‘ভূমি দিবস’ উপলক্ষ্যে যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে। এর সাথে সংহতি প্রকাশ করে ফ্রেন্ড অব আল আকসা ও মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিটেন (এমএবি)।
প্যালেস্টাইন সোলিডারিটি ক্যাম্পেইন (পিএসসি)-এর পরিচালক বিন জামাল বলেন, আমরা আজ এখানে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য একত্র হয়েছি –যারা গাজায় নিজেদের অধিকার ও হারানো ভূমি ফিরে পাওয়ার আন্দোলন করছে।
লন্ডনের হাজারো মানুষের এ সমাবেশে ‘ইসরাইল বের হও’ এবং ‘ফিলিস্তিনের জন্য স্বাধীনতা’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা প্লেকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানারে নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে এ সমাবেশ পালন করেছ।।
২ এপ্রিল সকালে ইয়াহুদিবাদী ইসরাইলের সেনারা জেরুজালেমের উত্তরাঞ্চলের কল্যাণ্ডিয়া ক্যাম্প থেকে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের ২৩ বছরের যুবক মুহাম্মদ আলিদ্বার আদদাওয়ানকে গুলি করে আহত করে। আহত আলিদ্বার শাহাদাত বরণ করেন। গুলিতে আহত অপর ৩ মুসলিম যুবক ইবরাহিম, ইউসুফ এবং নোমানকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গোলান মালভূমির ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে এক ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ইসরায়েল এই জায়গাটি সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে নিয়েছিল। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন ওই ঘোষণায় স্বাক্ষর করছিলেন – তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর দেশে দেশে এর প্রতিবাদ হয়ে আসছে।
আইএ