
ওয়ায়েজিনদের উপর করারোপ এবং ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ আলেমদের ওয়াজে বাধানিষেধের প্রস্তাবনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে কুষ্টিয়ার ফজলুল উলুম মাদরাসার খতমে বোখারী অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওয়ায়েজিনদের উপর করারোপ এবং কতিপয় বক্তাদের ওয়াজে বাধা সরকারের ইসলাম বিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। ইসলামবিরোধী কোন শক্তির ইন্ধনে সরকার তা করছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ওলামায়ে কেরামের টুটি চেপে ধরতে সরকার এধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা সরকারের জন্য সুখকর হবে না। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ওলামায়ে কেরামকে ইসলামের কথা বলতে বাধা বা করারোপ করে তাদের লাগাম টেনে ধরার যে চক্রান্ত হচ্ছে এ ধরণের চক্রান্তে সরকার পা দিলে সরকারের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। সরকার এধরণের চক্রান্তে পা দিলে দেশময় আন্দোলন গড়ে উঠবে।
সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, এই সমস্যা সমাধানে সরকার যদি আন্তরিক হয় তাহলে র্শীষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি বোর্ড গঠন করে ওয়াজ মাহফিলে বিশৃংখলা বন্ধ করা প্রয়োজন। ওলামায়ে কেরামের অংশগ্রহণ ছাড়া শুধুমাত্র সরকারি তত্ত্বাবধানে করলে সে ক্ষেত্রে এটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
র্শীষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের সহযোগিতায় একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে কাজ করতে পারলে সরকার প্রশংসিত হবে, সেইসাথে ইসলামের সৌন্দর্য রক্ষা হবে, বলেন তিনি।
মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, কতিপয় আলেম না জেনে বুঝে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা করেন। আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। ইসলামী রাজনীতি সম্পর্কে পীর সাহেব বলেন, কোন তাগুতি শক্তি ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ইসলামী আন্দোলন ব্যবহার হবে না। তিনি বলেন, আজীবন ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জানমাল কুরবানী করে কাজ করে যাবো।