

পাকিস্তানের ইসলামী স্কলার, সারাবিশ্বে প্রবল জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব আল্লামা তাকি উসমানীকে লক্ষ করে গত ২২ মার্চ শুক্রবার করাচিতে তার গাড়ি বহরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছিল। হামলায় অলৌকিকভাবে আল্লামা তাকি উসমানী বেঁচে গেলেও নিহত হয়েছেন তার সঙ্গে থাকা পুলিশ দেহরক্ষী এবং ড্রাইভার। আহত হয়েছেন তিনি তার স্ত্রী এবং আরও কয়েকজন।
তার উপর এ ভয়াবহ হামলা নিয়ে তদন্ত করা ফরেনসিক বিভাগ জানিয়েছে, মুফতী তাকি উসমানীর উপর হামলা করা হয়েছিল অত্যাধুনিক মরণাস্ত্র দিয়ে যে অস্ত্র দিয়ে কোন হামলার রেকর্ড পাকিস্তানে ইতিপূর্বে আর নেই। এবং এ ধরণের ভয়াবহ অস্ত্রের রেকর্ডও গোয়েন্দা সংস্থা বা অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের কাছে নেই। হামলাকারীরা এমন মরণাস্ত্র কোথায় পেল তা নিয়ে জোর তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থা।
হামলাকারী সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত অস্ত্রের বর্ণনায় ফরেনসিক বিভাগ বলেছে, দুটি নাইন এমএম পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছে হামলা করতে যেখানে একটি পিস্তল থেকে একাধারে ৯টি বুলেট এবং অন্য পিস্তল থেকে ৬টি বুলেট ছোঁড়া হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, এ ধরণের পিস্তলের ব্যবহার ইতিপূর্বে পাকিস্তানে কোন হামলায় দেখা যায়নি।
এ ভয়াবহ হামলার পর আল্লামা তাকি উসমানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তিনস্থরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা দেয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মুফতী তাকি উসমানীর আহত ড্রাইভার। যিনি এক হাতে গুলি নিয়েও সেদিন গাড়ি চালিয়ে নিয়েছিলেন সাহসিকতার সাথে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তাকে ছুটে গিয়েছেন তাকি উসমানী। সামা নিউজ।
আরও পড়ুন :