

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার চাড়ালজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের ডিসপ্লেতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের দিয়ে জঙ্গীবাদ বা সন্ত্রাসবাদ বোঝাতে বোরকার ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
ডিসপ্লে থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা যায় বিভিন্ন স্থানে জঙ্গী (সন্ত্রাসী) হামলার চিত্র দেখাতে নারী সন্ত্রাসীদের বোরকায় আবৃত করে নেওয়া হয়েছে। তারা বোরকা পরিহিত হয়ে বিভিন্ন অভিনয়ের মাধ্যমে জঙ্গীবাদের (সন্ত্রাসবাদ) চিত্র দেখাচ্ছে। বুঝানো হচ্ছে বোরকা পরিহিতরাই জঙ্গী। “এমনকি সেখানে বোরকা পরিহিতরা বিভিন্ন জঙ্গী হামলা করছে এবং বিপদের সময় আত্মহত্যা করছে” এমনটাই প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র থেকে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার চাড়ালজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডিসপ্লে ও ক্রিড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের সাজানো স্ক্রীপ্টে সেখানে নারী জঙ্গী (সন্ত্রাসী) হিসেবে বোরকা পরিহিত কিছু ক্ষুদে বাচ্চাদের দিয়ে “জঙ্গীবাদবিরোধী” ডিসপ্লে করানো হয়। ডিসপ্লেতে জঙ্গীদের পোশাক হিসেবে বোরকার অপব্যবহার করা হয়েছে। এতে বোরকার উপর সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হবে বলেই সচেতনমহলের দাবি।
স্থানীয় একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এভাবে ইসলামের পোশাককে জঙ্গীবাদের নিদর্শন হিসেবে দেখানো কোনভাবেই উচিত নয়। ইসলামে জঙ্গীবাদের কোন আশ্রয় নেই। আমরা বরং কিছুদিন আগেও দেখেছি নিউজিল্যান্ডে মসজিদে ভয়াবহ জঙ্গী হামলা করেছে খৃস্টান শ্বেতাংগ সন্ত্রাসী। তারপরও ইসলামের পোশাককে জঙ্গীবাদের চিত্র হিসেবে কেন প্রকাশ করা হয় তা আমার বোধগম্য নয়।
প্রসঙ্গত : বিভিন্ন স্থানেই স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবসে জঙ্গীবাদ, রাজাকার, দেশদ্রোহী ইত্যাদি বুঝানোর জন্য দাড়ি-টুপি বোরকা এসব ইসলামী পোশাকের ব্যবহার করানো হয়। যা মোটেও সঠিক নয় কারণ জঙ্গীবাদ বা সন্ত্রাসবাদ কখনও পোশাক নির্ধারণে হয় না বরং ইসলামের পোশাক বা ইসলামী সংস্কৃতিকে হেয় করার জন্যই অনেকে পরিকল্পিতভাবে এমন কাজ করে বলেই সচেতনমহলের দাবি। ইসলামের পোশাক ও সংস্কৃতির উপর সামাজিক অবমূল্যায়ন তৈরির জন্যই অনেকে এমনটা করে থাকেন বলে মতামত দিয়েছে অনেকে।