ভোটাধিকার প্রয়োগে দেশে একদিন বিদ্রোহ হবেই: গাজী আতাউর রহমান

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০১৯

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘দেশের এই মূহুর্তে সবচেয়ে বড় সংকট জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারা, জনগন তাদের ভোট দিতে পারে না’ তাই নির্বাচনের প্রতি মানুষের কোন আগ্রহ নেই। “এভাবে কিন্তু দেশ চলবে না, একদিন না একদিন ভোটাধিকার প্রয়োগে এ দেশে বিদ্রোহ হবেই” এই ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যই স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, পাকিস্তানীরা জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল বলেই দেশের জনগণ বিদ্রোহী হয়ে স্বাধীনতা এনেছিল।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ-এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ-এর সঞ্চালনায় আজ রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজধানীর গোল্ডেন প্লেট রেস্টুরেন্টে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর উদ্যোগে সাংবাদিকদের নিয়ে বিশেষ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এই যে উপজেলা নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। জনগন এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেই না। জনগনের আগ্রহ হারিয়ে গেছে এ ভোট থেকে। এভাবে চলবে না দেশ।

জাতীয় নির্বাচনে সংলাপের নামে তামাশা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সংলাপের আগে সরকারী দল জাতীর সাথে প্রতারণা করেছে। সবাইকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে অস্ত্রের জোরে একটি এক দলীয় নির্বাচন আদায় করে নিয়েছে। এসময় নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবার সাথে প্রতারণা করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আমার উপর বিশ্বাস রাখুন। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে যা প্রয়োজন তাই করবো। একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবো। কিন্ত এমন আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার কথা রাখেননি। তিনি বরং তার দলকে পনুরায় ক্ষমতায় আনতে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। রাতের আঁধারে ব্যালট ভর্তি করে ক্ষমতায় এসেছেন।

এছাড়াও গাজী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মতবিনিময় সভায়।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী যুব আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি কে.এম.আতিকুর রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিলসহ কেন্দ্র ও ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ।

মন্তব্য করুন