
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নিরাপত্তায় তাদের জন্য দেহরক্ষী দিতে স্ব-স্ব দেশের সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
আজ (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে আজ মুসলমানরা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার। বড় সংকটময় পরিস্থিতিতে তারা জীবনযাপন করছেন। পৃথিবীর প্রায় সবকটি মুসলিম দেশ শত্রুদের দ্বারা আক্রান্ত। পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতির কালো থাবা মুসলিম উম্মাহকে পর্যুদস্ত করে চলেছে। এমন সংকটময় মুহূর্তেও শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম দিকহারা উম্মাহর পথপ্রদর্শনে নিয়োজিত আছেন। ফলে মুসলিম উম্মাহ এখনও সত্য ও সঠিক পথের ওপর পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ইহুদি-খ্রিস্টান এবং শিয়া সম্প্রদায় মুসলিম উম্মাহকে নেতৃত্বশূন্য করে দেয়ার লক্ষ্যে শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামদের হত্যার টার্গেট নিয়েছে। এই অপচেষ্টায় যদি তারা সফল হয়ে যায়, তাহলে মুসলিম উম্মাহ সহজেই দিক হারিয়ে ফেলবে। তাই উম্মাহর রাহবারদের দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে সন্ত্রাসীরা।
আল্লামা শফী বিবৃতিতে বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জুমার সময় পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় আলেম মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানির ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এবং তার স্ত্রী সুস্থ আছেন। কিন্তু দেহরক্ষী শাহাদাতবরণ করেছেন এবং দু’জন আহত হয়েছেন। আমি শহীদদের মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
হেফাজত আমির বলেন, এমন জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আগামীতে আরও জোরদার হতে পারে। বাংলাদেশে এমনটা হবে না- তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না। তাই শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের নিরাপত্তার লক্ষ্যে দেহরক্ষী রাখা জরুরি। কারণ তারা দেশের অমূল্য সম্পদ এবং উম্মাহর পথপ্রদর্শক। কাজেই দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।