যেভাবে হামলা হয়েছে মুফতী তাকি উসমানীর গাড়ি বহরে

প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০১৯

উপমহাদেশের বিখ্যাত আলেমে দ্বীন ও ইসলামী স্কলার পাকিস্তানের মুফতি তাকী উসমানী সাহেবের গাড়ি বহরে আজ দুপুর তিনটার দিকে হামলার ঘটনা ঘটেছে এ হামলায় মুফতী তাকি উসমানী এবং তার স্ত্রী মিসেস তাকী উসমানী বেঁচে গেলেও নিহত হয়েছেন তার দুজন সঙ্গী এবং গুরুতর আহত হয়েছেন মুফতি তকী উসমানী ও তার স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় জানা যায় মুফতী তাকি উসমনীকে বহন করা গাড়ি করাচির গুলশান ইকবালের নাপাপুল এলাকার কাছাকাছি পৌছালে দুটি হোন্ডায় করে আসা চারজন সন্ত্রাসী গাড়ির পেছন থেকে গুলি করতে করতে সামনে এগিয়ে আসে। গাড়ির উভয় পাশের কাঁচ ভেঙ্গে ভেতরে থাকা দুজন দেহরক্ষীর গায়ে সরাসরি গুলি লাগে এবং তারা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গাড়ির সামনের অংশেও একাধিক গুলি ছোঁড়া হয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গাড়ির সামনের পেছনের সব অংশেই বুলেটের আঘাত রয়েছে। অলৌকিকভাবে মুফতী তাকি উসমানী অক্ষত রয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম।

হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও তেমন কিছু না জানা গেলেও ধারণা করা হচ্ছে পাকিস্তানের উগ্র চিন্তা-ধারণা লালন করা কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাজ এটি যারা পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার কাজে নিয়োজিত বলে দাবি করছে পাকিস্তানের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী

নিহতদের মধ্যে রয়েছে মুফতি তাকি উসমানির নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্য এবং তার ড্রাইভার। এই সময় গাড়িতে মাওলানা তাকি উসমানি, তার স্ত্রী ও চার নাতি ছিলেন।

করাচির পুলিশ প্রধান ড. আমির আহমদ শেখ গুলিবর্ষণের এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। দারুল উলুম করাচির সূত্রে পাকিস্তানের ডেইলি ডন বলছে, গুলিবর্ষণের ঘটনায় মাওলানা তাকি উসমানি আহত হয়েছেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

করাচির এডিশনাল আইজি আমির শেখ বলেছেন, এটি জঙ্গিবাদী কোনো হামলা নয়। পাকিস্তান ও করাচিকে অশান্ত করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। সিন্ধু প্রদেশের আইজি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাকি উসমানীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হলেও তিনি নিরাপদে রয়েছেন।

আল্লামা তাকি উসমানী বিশ্বখ্যাত মুসলিম স্কলার হিসেবে পরিচিত। আরব বিশ্বসহ পুরো বিশ্বের মুসলিম সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। দারুল উলুম করাচির এ ভাইস প্রিন্সিপাল পাকিস্তানের প্রথম গ্রান্ড মুফতি শফি রহ. এর ছেলে এবং পাকিস্তানের বর্তমান গ্যান্ড মুফতি রফি উসমানির ছোট ভাই। তিনি পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্টের শরীয়া বেঞ্চের সাবেক বিচারপতি।

মন্তব্য করুন