২২ মার্চ জাতীয় যুব কনভেনশন; চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ৭:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৯
২২ মার্চ জাতীয় যুব কনভেনশন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহযোগী সংসঠন ও বাংলাদেশে যুব সমাজের কাছে ব্যাপক পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য সংগঠন ‘ইসলামী যু্ব আন্দোলনের’ ব্যাবস্থাপনায় সারাদেশ থেকে আগত যুবকদের অংশগ্রহণে আগামী ২২ মার্চ ঢাকাস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয় যুব কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে। কনভেনশন ঘিরে তাই চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি-প্রচারণা।

কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। বিশেষ অতিথি হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব, বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ অধ্যপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, গাজী আতাউর রহমানসহ জাতীয় ও কেন্দ্রীয় অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ও ওলামায়ে কেরামগণ উপস্থিত থেকে যুবকদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন।

ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “যুব কনভেনশন” উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, যুব কনভেনশনের মাধ্যমে আমরা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যুবকদের মধ্যে দাওয়াত পৌছে দিয়েছি। এর ধারাবাহিকতায় ২২ মার্চ ঢাকাস্থ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ২য় বারের মত কনভেনশন আয়োজন করা হয়েছে।

যুব কনভেনশনের জন্য দেয়াল রাইটিং করে প্রচারণা।

যুব কনভেনশনের জন্য দেয়াল রাইটিং করে প্রচারণা।

তিনি বলেন, ইসলামী যুব আন্দোলন কোন গতানুগতিক সংগঠন নয় বরং দেশের প্রতিথযশা ওলামায়ে কেরাম, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবীদদের পরামর্শক্রমে ইসলামী যুব আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত। দেশের এক তৃতিয়াংশ যুবকদের নৈতিক ও সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে তাঁকিয়ে যুব আন্দোলন তার কর্মপন্থা ঠিক করেছে। দেশে বিভিন্ন সংগঠন যুবকদের নিয়ে কাজ করে কিন্তু ইসলামী যুব আন্দোলন একটি ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে যুবকদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তাদের বেকারত্ব দুরিকরণসহ যুবকদের নৈতিক চরিত্র ঠিক রাখতে যুব আন্দোলন ব্যাপকভাবে সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২২ মার্চ জাতীয় যুব কনভেনশন সফল করার লক্ষ্যে দেশবাসীর কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুব কনভেনশন সফল করার মাধ্যমে সত্যিকারার্থেই আমরা যেন যুবকদের জন্য, দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু করতে পারি।

যুব কনভেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল মাও. নেসার উদ্দিন জানান পাবলিক ভয়েসকে বলেন,
রাজধানী ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টটিউটে জাতীয় যুব কনভেনশনের এ বিশাল আয়োজন সম্পন্ন করা হবে। সারাদেশ থেকেই যুবকরা নির্দিষ্ট পরিসিমায় কনভেনশনে উপস্থিতি থাকবেন বলেও জানান তিনি। কনভেনশন সফল করার লক্ষ্যে সকল দায়িত্বশীল ও সংশ্লিষ্ঠরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মূলত কনভেনশনে প্রতি থানা থেকে দশজন করে উপস্থিত হওয়ার পরিসিমা নির্দিষ্ট রয়েছে বলে জানিয়েছেন কনভেনশন আয়োজক সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র।
আয়োজক কমিটির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সারাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে যুব কনভেনশনের। রাজধানী ঢাকায় প্রচারণায় যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। ব্যানার ফেস্টুন এবং ব্যক্তি পর্যায়ের প্রচারণাও চলছে ব্যাপকভাবে। তারা কনভেনশন সফল হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন।

চলছে প্রচারণা

চলছে প্রচারণা

প্রসঙ্গত : বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতির এক ব্যাতিক্রম ধারার প্রবর্তক ও জনমনে যায়গা করে নেয়া ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ”র সহযোগী সংগঠন হিসেবে ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইয়ের ঘোষনার মাধ্যমে প্রথমে আত্মপ্রকাশ হয়েছে “ইসলামী যুব আন্দোলন”র। আত্মপ্রকাশের পর সারা দেশে আহবায়ক কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার প্রায় আট মাসের মাথায় ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ ঢাকার কাজি বশির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম “জাতীয় যুব কনভেনশন” সেখান থেকে কে এম আতিকুর রহমানকে সভাপতি, ইঞ্জিঃ শরিফুল ইসলামকে সহ-সভাপতি ও তারুণ্যদীপ্ত নেতা মাও. নেসার উদ্দীনকে সেক্রেটারী জেনারেল নির্বাচিত করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষনা ও পরবর্তিতে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করার পর সারাদেশে বর্তমানে ৬৪ জেলাসহ সর্বমোট ৭৯টি সাংগঠনিক জেলায় এই সংগঠনের কার্যকরী পূর্নাঙ্গ কমিটি রয়েছে বলে জানা গেছে। গঠিত কমিটির নিরলস প্রচেষ্টায় সারাদেশে এ সংগঠনের কার্যক্রম বেশ লক্ষণীয় পর্যায়ে রয়েছে।

মন্তব্য করুন