
পাবলিক ভয়েস: সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (বুধবার)। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আ.লীগ বনানীতে মরহুমের কবরস্থানে সকাল ৮টায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচির আয়োজন করেছে। একইদিন বাদ আছর মরহুম মো. জিল্লুর রহমানের বাসভবনে (বাড়ি-২২, সড়ক-১০৮, গুলশান-২) মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মাহফিলে আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে। আ.লীগের দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের বলাকী মোল্লার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের জিএস ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও ক্রান্তিলগ্নে তার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। দল-মত নির্বিশেষে জিল্লুর রহমান সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। আর এ জন্যই ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে তিনি ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে আ.লীগ দলীয় সরকার গঠন হলে জিল্লুর রহমান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া স্বাধীনতার পর তিনি তিনবার আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ছিলেন আ.লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আহত হয়ে ২৪ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন আইভি রহমান। তাদের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডর (বিসিবি) সভাপতি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন মো. জিল্লুর রহমান মারা যান। এর আগে একই বছরের ৯ মার্চ অসুস্থ হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে অবস্থার অবনতি হবে সাবেক রাষ্ট্রপতিকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। ১১ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।

