ভারত পাকিস্তান সমস্যার মধ্য যে নামটি বারবারই উচ্চারিত হয়ে আসছে সেটি হল কাশ্মীরে স্বাধীনতা আন্দোলন করছে দাবি করা ‘জঈশ-ই-মুহাম্মাদ’ সংগঠনের প্রধান নেতা মাসুদ আজহার। ভারত সরকারের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার অন্যতম হল, এই নেতাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তার সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিত্রায়িত করে পাকিস্তানকে কোনঠাসা করে দিতে চেষ্টা করা কিন্তু বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ভারত এ কাজটি করতে পারেনি।
জঈশকে পাকিস্তান-ভিত্তিক সংগঠন হিসেবে দাবি করে এ সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ঘোষণা করতে জাতিসংঘে ভারতের তোলা প্রস্তাবে ফ্রান্স, আমেরিকা ও ব্রিটেন সম্মতি দিলেও ভেটো দেয় বেইজিং। চিনের বাধায় এবারও আটকে যায় ভারতের এই প্রচেষ্টা।
প্রস্তাবে ভারত দাবি করেছিল, মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি তাকে জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত এবং তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দ করতে হবে। কিন্তু চীন আগেই বলেছিল, “মাসুদ আজহার ইস্যুতে এমন সমাধান খুঁজতে হবে যা সব পক্ষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়।”
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলার পর বিমান হামলার পাশাপাশি ‘ভারতের দাবি মতো সন্ত্রাসবাদ দমনে’ আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইতে শুরু করে ভারত। যার জেরে ভারতের প্রচেষ্টায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের নিষিদ্ধ তালিকায় ফের মাসুদ আজহারের নাম ঢোকানোর জন্য নতুন করে প্রস্তাব আনে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও আমেরিকা। নিয়ম অনুযায়ী সেই দিন থেকে দশ কর্মদিবসের মধ্যে ওই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। সে অনুসারে জাতিসংঘের অধিবেশনে গত বুধবার ভোটাভুটি হয় কিন্তু চতুর্থবারের মতো ভারতের আনা প্রস্তাবে ভেটো দেয় চীন যার ফলে মাসুদ আজহার জাতিসংঘের তালিকায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়নি। ভারত এ ঘটনায় চিনের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছে।
