বিশ্বের পরোপকারী দেশের তালিকায় ৭৪ তম স্থান বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ৬:২৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: পরের উপকার করার সূচকে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশের মানুষকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশের জনগণ। সূচকটি প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা চ্যারিটি এইড ফাউন্ডেশন। জরিপের আওতায় থাকা বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ৭৪ নম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান। আর এশিয়ায় নবম অবস্থানে।

জরিপে তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি দেশের স্কোর নির্ধারণ করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের গড় স্কোর ৩১। ২০১৭ সূচকের চেয়ে ২০১৮ সূচকে সবচেয়ে উন্নতি করা প্রথম তিনটি দেশের একটি বাংলাদেশ। এক ও দুই নম্বরে আছে কঙ্গো ও প্যারাগুয়ে।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণী সংস্থা ‘গ্যালাপ’-এর ডেটা বিশ্লেষণ করে মূলত এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘চ্যারিটি এইড ফাউন্ডেশন’ নামের যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সংস্থা। গ্যালাপের তথ্য নিয়ে বিশ্বের কয়েকটি সংস্থা বেশ জনপ্রিয় কিছু জরিপ ও গবেষণা পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে হ্যাপিনেস ইনডেক্স ও ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি ইনডেক্সের মতো গবেষণা।

২০১৭ সাল জুড়ে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের গ্রাম ও শহরের নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। এসব প্রশ্নের মধ্যে ছিলো- ‘আপনি গত মাসে এই তিনটি কাজের কোনোটি করেছেন?

  • – চেনেন না এমন কাউকে সাহায্য করেছেন?
  • – কোনো চ্যারিটিতে দান করেছেন?
  • – কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন?’

একটি দেশের নমুনা জনসংখ্যার এসব উত্তরের ভিত্তিতে সারাদেশের জন্য একটি ফলাফল প্রাক্কলন করে ‘গিভিং ইনডেক্স’ বা ‘পরহিতৈষী সূচক’ তৈরি করা হয়।

পরহিতৈষী সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৭৪ হলেও, সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বেশি অচেনা মানুষকে উপকার করার সূচকে বাংলাদেশ ৭ম। তবে শতকরা হারের হিসেবে অচেনা মানুষকে উপকার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৪। দান খয়রাত করার ক্ষেত্রে ৭৯তম অবস্থানে, আর স্বেচ্ছাশ্রম দেবার ব্যাপারে ১১০ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।

তবে বিশ্ব সূচকে শীর্ষ অবস্থানে নেই কোনো ধনী দেশ। এক নম্বরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সিঙ্গাপুর ৭ ও মিয়ানমার রয়েছে ৯ নম্বরে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার এক নম্বরে থাকলেও এবার ৯ ধাপ পিছিয়েছে।

এশিয়ার শীর্ষ দশে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুর ছাড়া রয়েছে, শ্রীলঙ্কা, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন্স।

চ্যারিটি এইড ফাউন্ডেশন তাদের রিপোর্টে বলেছে যে, এই জরিপসহ তাদের এ সংক্রান্ত কাজগুলো গত ৯০ বছর ধরে দাতা সংস্থাগুলোকে আরো গভীরভাবে কাজ করতে সহযোগিতা করছে।

মন্তব্য করুন