 
                                       
পাবলিক ভয়েস: ভারতের উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনৌয়ের ডালিগঞ্জে দুই ফল বিক্রেতাকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার উপর মারধর করা হয়েছে।
গত বুধবার (৬ মার্চ) বিকাল পাঁচটার দিকে ভারতের একটি ডানপন্থী সংগঠনের কয়েকজন সদস্য আচমকাই চড়াও হয় ওই দুই ফল বিক্রেতার ওপর। তাদের মারধর করতে শুরু করে তারা। পরে ফেসবুকে সেই ভিডিও শেয়ার করে আক্রমণকারী ব্যক্তিদেরই একজন।
ভিডিওতে দেখা যায়, গেরুয়া রঙের পোশাক পরা দুই ব্যক্তি কাশ্মীরের দুই ‘ড্রাই ফ্রুট’ বিক্রেতাকে লাঠি দিয়ে মাথায় মারছেন। ওই দুই ব্যক্তি মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ভিডিওতে অভিযুক্তকে বলতেও শোনা গেছে যে, শুধুমাত্র কাশ্মীরি হওয়ার জন্যই মার খেতে হচ্ছে এই দুই ফল বিক্রেতাকে।
লাঠি দিয়ে বারবার মারায় রক্তাক্ত হয়ে যান ওই দুই ব্যক্তি। তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। পুলিশ এসে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে। শান্তিভঙ্গের অভিযোগ ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
কিন্তু মূল অভিযুক্তকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তি বিশ্ব হিন্দু দলের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তিনিই ফেসবুকে ওই নিগ্রহের ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তবে পরে সেই ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে।
পেটানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সেই টুইটে প্রধানমন্ত্রীকেও ট্যাগ করেছেন তিনি।
ভারতের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় কেন্দ্র থেকে কড়া নির্দেশিকা জারি করা সত্ত্বেও কীভাবে এই জাতীয় ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলওয়ামা হামলার পরই সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল কাশ্মীরিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে।
কাশ্মীরিদের ওপর দেশের নানা প্রান্তে হিংসার ঘটনা আরও বেশি চোখে পড়ছে পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই। কখনও চিকিৎসক, কখনও শিক্ষার্থী, কখনও বা নিরীহ ব্যবসায়ীরা আক্রান্ত হয়েছেন শুধুমাত্র জন্মসূত্রে কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল লখনৌতেও।
 
		
