

পাবলিক ভয়েস: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় দিনভর ভেন্টিলেটর মেশিনে অচেতন থাকলেও রাতে তার জ্ঞান ফিরে। তিনি চোখ মেলে তাকিয়েছেন। তার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে, প্রস্রাবও হয়েছে। এমনকি ইশারায় তিনি পানি চাইলে চিকিৎসকরা তাকে নলের মাধ্যমে পানি খেতে দেন।
বিএসএমএমইউর একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রাত পৌনে ১০টায় এ তথ্য জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই চিকিৎসক জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছিল যে চিকিৎসকরা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশে পৌঁছানো পর্যন্ত তিনি বেঁচে থাকবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে দেখে যাওয়ার পর থেকে অনেকটা ‘মিরাকল’ ঘটনার মতোই তার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হতে থাকে।
উল্লেখ্য গতকাল রোববার (৩মার্চ) সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিএসএমএমইউর আইসিইউতে ভর্তির পর ওবায়দুল কাদেরের ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। আইসিইউতে চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে তার এনজিওগ্রাম করে হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।
এ সময় একটি রক্তনালীতে রিং (স্ট্যান্টিং) বসানো হয়। এরপর উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।