পাবলিক ভয়েস: নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক স্বাধীনতাকামীদের ঘাঁটি। হামলায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩০০ কাশ্মীরি।
আজ মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মুজাফফরবাদ, চাকোটি, বালাকোটে ঢুকে ওই সব ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতের ১২টি যুদ্ধ বিমান। জানা গেছে এই অপারেশনে ছিল ভারতীয় বিমানবাহিনীর ‘মিরাজ-২০০০’ বিমান।
ভোররাত ৩.৩০ মিনিট নাগাদ মুজাফফরবাদ সেক্টর দিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ঢুকে ঝটিকা আক্রমণ হানে তারা এবং প্রায় আধাঘণ্টা ধরে তারা বোমাবর্ষণ করে। প্রায় ১ হাজার কিলোগ্রাম বোমা ফেলে ভারতীয় বিমানবাহিনী। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় লস্কর-ই-তৈয়বা, জয়শ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিন সহ স্বাধীনতাকামীদের প্রশিক্ষণ শিবির।
সূত্রে খবর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আগেই এই প্রত্যাঘাতের ঘটনার কথা জানায় দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এরপরই হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী।
এদিকে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের পাইলটদের স্যালুট জানান কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
হামলার পরই ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভারতীয় পারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সেবাও।
হামলার পরই দিল্লিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জরুরীরি বৈঠকে বসেছেন সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা। অন্যদিকে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ আহমেদ কুরেশিও।
উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় এক হামলায় ৪২ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়। যার ১২ দিনের মাথায় হামলা চালালো ভারতীয় সেনাবাহিনী।
তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাশ্মীরের উরিতে ভারতীয় সেনার ঘাঁটিতে হামলায় ১৮ সেনার নিহত হওয়ার পরই ২৯ সেপ্টেম্বর নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে গিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
