দুই জেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: ব‌রিশালের মেহে‌ন্দিগঞ্জে ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন।

গতকাল ‌সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে  মেহে‌ন্দিগঞ্জে ও আজ মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কুমারখালীতে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে মেহে‌ন্দিগঞ্জে পু‌লিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মামুন সরদার (২৭) নামে এক ডাকাত নেতা ও কুমারখালীতে দু’দল মাদকবিক্রেতার মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমদাদ খন্দকার (৩৮) নামে এক মাদকবিক্রেতা নিহত হন।

নিহত মামুন সরদার ব‌রিশালের হিজলা উপজেলার খুন্না এলাকার মালেক সরদারের ছেলে। নিহত ইমদাদ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার রঞ্জিতপুর গ্রামের কটা খন্দকার ওরফে রাফির ছেলে।

বরিশালের কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি-তদন্ত) আব্দুল খালেক জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাজীরহাট থানায় স্থানীয় পান্না মীরের বা‌ড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এক‌টি মামলা দায়ের হয়। যে মামলার সূত্র ধরে কয়েক‌দিন আগে রাসেল হাওলাদার নামে একজনকে আটক করা হয়।

পু‌লিশ ও আদালতে রাসেলের দেওয়া স্বীকারো‌ক্তি অনুযায়ী মামুন নেতৃত্বে ওই ডাকা‌তি সংগ‌ঠিত হয়। ডাকাতির মালপত্রও তার কাছে রয়েছে। এ সূত্র ধরে পু‌লিশ অ‌ভিযানে নেমে গতকাল সোমবার রাত ৮ টা দি‌কে মুলাদী ব্রিজ এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী কাজীরহাট থানা এলাকার কাজীরাবাদ ডি‌গ্রি কলেজস্থ ম‌নিরের ইটভাটার প‌শ্চিমপাশে ডাকা‌তির মালপত্র উদ্ধারের অ‌ভিযানে যায় পুলিশ।

রাত ২টার দি‌কে অ‌ভিযানের সময় পু‌লিশের উপ‌স্থি‌তি টের পেয়ে মামুনের সহযোগীরা পু‌লিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গু‌লি চালায়। এরমধ্যে মামুন পা‌লি‌য়ে যাওয়ার জন্য দৌড় দিলে তিনি গু‌লি‌বিদ্ধ হয়ে গুরুতর হয়। পরে তাকে মুলাদী হাসপাতালে নিলে চি‌কিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার, একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড রাইফেলের গু‌লি, দুই রাউন্ড পিস্তলের গু‌লি, বেশ‌কিছু গু‌লির খালি খোসা, দুইটি রামদা, একটি শাপল, ছয়টি মুখোশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ব‌রিশালের পু‌লিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম জানান, ‌নিহত মামুনের বিরুদ্ধে বি‌ভিন্ন থানায় ডাকা‌তিসহ একা‌ধিক মামলা রয়েছে।

এদিকে কুমারখালীতে আহত অবস্থায় ইমদাদকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য করুন