বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৭০ হাজার

প্রকাশিত: ৮:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯

পাবলিক ভয়েস: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন, বর্তমানে পদশের উচ্চ আদালত ও অধীনস্থ আদালতে সর্বমোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫০টি। এর মধ্যে বিচেরাধীন ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭টি। যার মধ্যে আপিল বিভাগ ২০ হাজার ৪৪২টি ও হাইকোর্ট বিভাগে ৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৫২। আর অধস্তন আদালত ৩০ লাখ ৩২ হাজার ৬৫২টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও এম আবদুল লতিফের পৃথক দু’টি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছে। বর্তমান সরকার মামলার জট কমানোকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

৫৭১ জন সহকারী জজ নিয়োগ বিচারাধীন মামলা কমানোর নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সারাদেশের ফৌজদারি মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে বিচার কাজ ত্বরান্বিত করার জন্য বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন কে গতিশীল করা হয়েছে, যাতে শূন্য পদে নিয়োগ দেয়া যায়।

২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ৫৭১জন সহকারি জজ নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং ইতোমধ্যে সারাদেশে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়াও ১২তম জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি জজ নিয়োগের প্রক্রিয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তির জন্য ৪১টি ট্রাইব্যুনাল সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেন।

কাজী ফিরোজ রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী বলেন, নারী শিশু নির্যাতন মামলায় সাক্ষীদের আদালতে নির্ভয়ে হাজির করার ব্যাপারে বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সাক্ষীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অনলাইনে সাক্ষ্য দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মুসলিম পারিবারিক আইন বাংলায় অনুবাদ হচ্ছে : হাজী মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী জানান, সকল নাগরিকদের বোঝার সুবিধার্থে ‘মুসলিম ফ্যামেলি ল’ অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫’ কে বাংলায় অনুবাদ করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। মুসলিম পারিবারিক আইন অধিকতর সংশোধনের কোন পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

তিনি বলেন, মুসলিম পারিবারিক আইন একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ আইন। এটি ব্যক্তিগত আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, ভরণপোষণ, পিতৃত্ব, উত্তারাধিকার ইত্যাদি বিষয়সমূহ এ আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। বিয়য়গুলোর সাথে ধর্মীয় অনুশাসনসহ সমাজিক অন্যান্য বিষয়াদি ওতপ্রোতভাবে জড়িত্। এই আইনের মাধ্যমে পারিবারিক এই বিষয়সমূহ যথাযথভাবে আদালত কর্তৃক নিস্পত্তি করা হচ্ছে।

তবে ভবিষ্যতে উক্ত আইন সংশোধনের কোন প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হলে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী ও বিশেষজজ্ঞদের সাথে আলোচনাক্রমে ধর্মীয় বিধি বিধানের দিকে লক্ষ্য রেখে যাচাই-বাছাই করে বিদ্যমান আনি সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন