নিউইয়র্কে এসকে সিনহা ও মঈন ইউ আহমদের ফাঁসির দাবি

প্রকাশিত: ৫:০৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
রশীদ আহমদ (নিউইয়র্ক থেকে)
ভারত বাংলাদেশকে কদর রাজ্যে পরিনত করেছে। ভারতের তাঁবেদারী করে আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেছে। এ সরকার ক্ষমতা আসার পরই প্রথমে পিলখানায় দেশপ্রেমিক চৌকস সেনাবাহিনীকে হত্যা করে। এরপরই হত্যা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির শীর্ষ নেতাদেরকে।
বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছে। পদ-পদবী ও অর্থের লোভে জামায়াতে ইসলামের নেতাদেরকে বিচারিক হত্যা করেছে সাবেক বিচারপতি এসকে সিন্হা। তাই এসকে সিন্হা ফাঁসি হওয়া দরকার বলে দাবি করেন বিশিষ্ট লেখিকা মিনা ফারাহ। গত ২৪শে ফেব্রুয়ারী রোববার স্থায়ীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি হলে হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ (এইচআরডিবি) আয়োজিত গোল টেবিল বেঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি জানান তিনি। তিনি বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ফেব্রুয়ারী মাস আমাদের জন্য অশুভ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসার পরই পিলখানায় বিডিআর এর চৌকস সেনা অফিসারদের হত্যা করে। সম্প্রতি চকবাজারে অগ্নিকান্ডে শতশত মানুষ হত্যাকে বর্তমান হাসিনা সরকার কোনভাবে এড়াতে পারেন না।
মিনা ফারাহ নেদারল্যান্ডে গণঅভ্যাত্থনের উদারণ দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগকে তাড়াতে হলে প্রথমে ভারতের বিরুদ্ধে আমাদেরকে কথা বলতে হবে। ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগকে শুধুমাত্র ভারতই সেল্টার দিয়ে আসছে। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক ও এসকে সিন্হার সমালোচনা করে বলেন, তারা অর্থের বিনিময় এবং পদ-পদবীর লোভে বাংলাদেশ জামায়াত নেতৃবন্দকে বিচাররিক হত্যা করেছে। জামায়াত নেতাদের হত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা দরকার।
এছাড়া পিলখানায় সেনা হত্যাকান্ডের দায় মঈন ইউ আহমদের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো প্রয়োজন।তাহলে সেই হত্যাযজ্ঞের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এইচআরডিবি’র সেক্রেটারী প্রফেসর দেলোয়ার মজুমদার। বক্তব্য রাখেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) খাজা মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী শাসছুল হক, মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশী আমেরিকান প্রফেসিভ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট প্রফেসর কাজী ইসমাঈল ও এডভোকেট আবুল হাসেম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রফেসর জাহিদ বিন জমির।এছাড়াও গোলটেবিল বৈঠকে নিউইয়র্কের বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও সামাজিক সংগঠনের শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
উল্লেখ যে,২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় বিডিআর সদর দপ্তরে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাসহ কয়েকজন সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর এইচআরডিবি এ দিনটিতে তাদের স্মরণে “শহীদ সেনা দিবস” উদযাপন করে আসছে।

মন্তব্য করুন