

পলাশ রহমান
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক। ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি তিনি। চলতি সপ্তাহে তার নেতৃত্বে এক ব্যতিক্রম কর্মসূচির সূচনা করেছে ইসলামী আন্দোলন। আমরা সবাই জানি ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম ঝুকিপূর্ণ একটি শহর। প্রায় দেড় কোটি মানুষের আশ্রয়স্থল আমাদের প্রিয় রাজধানী। কিন্তু এটাকে আজ অবধি বসবাসযোগ্য একটি নিরাপদ শহর হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। এক সময় ঢাকা শহরের দেখভাল করার জন্য একজন মেয়র ছিলেন।
এখন দুজন। আওয়ামীলীগ সরকার ঢাকাবাসীর জন্য কোয়ালিটি সেবা নিশ্চিত করতে একক সিটিকরপোরেশন ভেঙ্গে দুই ভাগ করেছে। কিন্তু ঢাকাবাসীর ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বসবাসের অযোগ্য ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তোলা সম্ভব হয়নি। এত মানুষের আশ্রয়স্থল এই শহরটাকে বাসযোগ্য করতে আমাদের কোনো সরকার কোনো দিনই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। অনেক বছর থেকে সিটি সরকার গঠনের দাবি থাকলেও দেশের সরকাররা তাতে কর্ণপাত করেনি। নির্বাচন এলে প্রতিশ্রুতির ফলঝুরি দিয়েই এতটা বছর কাটিয়ে দিয়েছে, দিচ্ছে আমাদের সরকাররা। অসহায় ঢাকাবাসী প্রতিদিন যানজটের যাতাকলে বন্দি।
বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ, পানি দূষণ, শব্দ দূষণে জনজীবন অতিষ্ঠ। পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই। প্রতিদিনের বর্জ নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। মানুষের প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটানোরও বন্দবস্ত নেই। চারপাশে থকথক করে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ আবর্জনা, রোগ-জীবানু। মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সুন্নতের আমল করি- পরিচ্ছন্ন নগর গড়ি, শ্লোগান সামনে রেখে ঢাকা সিটি পরিস্কারের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তাদের এই কর্মসূচির মাধ্যমে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। বাসযোগ্য শহর গড়ার উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।
রোগ-বালাই হ্রাস পাবে। সর্বপরি ইমানের অন্যতম অনুসঙ্গ পরিচ্ছন্নতায় মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। আমাদের দেশের বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার মাধ্যমে মাঝেমধ্যে স্বল্পমাত্রায় নগর পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেলেও কোনো রাজনৈতিক দলকে এমন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় না। বরং তারা ঢাকায় বড় বড় মিটিং সমাবেশের নামে সারাদেশ থেকে মানুষ জড় করে আরো বেশি নোংড়া করে। কিন্তু পরিচ্ছন্ন বা বাসযোগ্য নগর গড়তে তাদের কোনো দায় আছে বলে মনে হয় না।
এদিক থেকে ইসলামী আন্দোলন ব্যতিক্রম কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আশা করবো তারা শুধু সপ্তাহব্যাপী বা ঢাকাকেন্দ্রীক এই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখবে না। পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি সারাদেশে ছড়িয়ে দেবে। আগামীতে পরিবেশ, পতিবেশ রক্ষায় আরো বেশি কর্মসূচি পালন করবে। নদী রক্ষাসহ বায়ু দুষণ, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণেও কর্মসূচি ঘোষনা করবে। জলবায়ুর অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কূফল রোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।