রাজশাহীতে ৫উপজেলাতেই আ.লীগের নতুন মুখ

প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
রাজশাহীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের নতুন মুখ।

পাবলিক ভয়েস: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে। এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা করেছে আ.লীগ।

গত শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এতে দেখা গেছে, এবার রাজশাহীর নয় উপজেলার মধ্যে পাঁচটিতেই দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন নতুনরা। এসব উপজেলায় প্রার্থী মনোনয়নে এবার তাই নতুনরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। বিষয়টি আ.লীগ কর্মী-সমর্থকরা মনোনয়নের চমক হিসেবেই দেখছেন। বাকি চারটিতে রয়েছেন পুরনো প্রার্থী। যারা গত উপজেলা নির্বাচনে সমর্থন পেয়েছিলেন।

দলের নতুন মুখ হিসেবে এবার যারা নির্বাচনে লড়াই করবেন তারা হলেন- রাজশাহীর তানোরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, পুঠিয়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিএম হিরা বাচ্চু, বাঘায় জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দীন লাভলু, গোদাগাড়ীতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এবং বাগমারায় জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি অনিল কুমার সরকার।

এছাড়া পুরনোদের মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন রাজশাহীর পবায় জেলা আ.লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মুনসুর রহমান, মোহনপুরে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, দুর্গাপুরে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম এবং চারঘাটে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম।

এর আগের নির্বাচনে রাজশাহীর দুর্গাপুর বাদে পবা, মোহনপুর ও চারঘাট উপজেলার আ.লীগ প্রার্থীরা বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।

উপজেলা নির্বাচনে এবার রাজশাহীর উপজেলাগুলোতে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা প্রত্যেকেই স্থানীয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) মদদপুষ্ট। মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে বেশির ভাগেরই নাম ছিল তৃণমূল থেকে পাঠানো তালিকায় নিচের দিকে। তবে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের মনোনয়নপ্রাপ্তরা প্রার্থী বাছাইয়ে শেষ পর্যন্ত টিকে গেছেন এমপিদের ঘনিষ্ঠ নেতারাই।

রাজশাহীর বাগমারায় এবার বাদ পড়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু। এই উপজেলায় আ.লীগ থেকে এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি অনিল কুমার সরকার। এছাড়া গতবার দলীয় মনোনয়ন পেলেও এবার ছিঁটকে পড়েছেন গোদাগাড়ী উপজেলায় জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। পুঠিয়ায় বাদ পড়েছেন শাহরিয়ার আলম কনক।

মনোনয়ন প্রশ্নে রাজশাহী জেলা আ.লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক শরীফুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নের জন্য তৃণমূলে সভা করা হয়েছিল। ওই সভা থেকে যাদের নাম তালিকার প্রথম সারিতে ছিল, তারাই মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন এবার। আর যাদের নাম তালিকার নিচের দিকে ছিল তারাই অদৃশ্য কারণে মনোনয়ন পেয়েছেন। সদ্য মনোনয়নপ্রাপ্তরা যে নিজ নিজ আসনের সংসদ সদস্যদের ছত্রছায়ায় রাজনীতি করেন তা ওপেন সিক্রেট। তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন তা গ্রামে গেলেই প্রমাণ মিলবে।

তবে রাজশাহী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, যা হয়েছে দলীয় সিদ্ধান্তেই হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে দলের মনোনয়ন বোর্ড যাদের হাতে নৌকা দিয়েছেন তাদের বিজয়ী করতে সবধরনের প্রচেষ্টা চালানো হবে।

আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে দেশের ৮৭টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগের চার জেলার ২৮টি উপজেলায় প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।

এর মধ্যে রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলা, নাটোর জেলার ৬টি উপজেলা, সিরাজগঞ্জ জেলার ৮টি উপজেলা এবং জয়পুরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন