

স্টাফ রিপোর্টার
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘ভোট চুরি’ এবং ‘ডামি নির্বাচন’ আয়োজনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বাদী নিজেই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বুধবার (২১ মে) মামলা করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা আদালতে বাদী কামরুল হাসান এই আবেদন করেন।
কামরুল হাসান ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ভারই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি পরিবারসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং নানা রকম চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব কারণ দেখিয়েই তিনি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু রায়হান খান জানান, গত সোমবার শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মোট ১৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত তখন ভূঞাপুর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু বুধবার বাদী এসে মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্ত জমা দেন। বিচারক রুমেলিয়া সিরাজাম তার জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেবেন।
তবে মামলার বাদী কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল, পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, পাঁচজন সাংবাদিক এবং একজন আইনজীবীকেও আসামি করা হয়েছিল। অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, মামলার পরদিন ঢাকার উত্তরায় বিএনপির এক নেতার বাসায় কয়েক দফা বৈঠকে মামলাটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত
বিএনপির সভাপতি ও ভারই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকে তিনি পরিবারসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং নানা রকম চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব কারণ দেখিয়েই তিনি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।