
ছবি: এনাইকিউ

মুহাম্মদ নাজমুল ইসলাম
রহিম : নাহ আর নাহ যেভাবেই হোক কিছু একটা করতে হবে।
জাফর : কিন্তু কিভাবে আমাদের সব পরিকল্পনাই তো পাকিস্তানিরা বুঝে ফেলছে।
রহিম: হুম, এক এক করে ৫ জন শহীদ হয়েছে। কিন্তু যেভাবেই হোক পাকিস্তানিদের এই গ্রাম থেকে বিদায় করতেই হবে।
জাফর : পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ টা অপরেশনে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। নিশ্চয়ই আমাদের সাথে মিশে কেউ ওদের খবর দিচ্ছে।
রহিম : ঠিক বলছিস জাফর। নাহ আর কেউ নায় দেশমাতাকে বাচাঁতে আমরাই লড়বো ইনশাল্লাহ।
জাফর : আমি তোর সাথে আছি।
.
.
এতোক্ষন কথা চলছিলো রহিম আর জাফরের মধ্যে । তারা দুজনই মধুমতি গ্রামের দশম শ্রেনির ছাত্র। রহিম ও জাফর দু’জনেরর মধ্যেই ছোটবেলা থেকে গভীর বন্ধুত্ব। দেশমাতৃকাকে বাচাতেই তারা দুই বন্ধু শপথ নিয়েছিলো। পাকিস্তানিদের মোকাবেলা করতেই মধুমতি গ্রামে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়েছে। সেই মুক্তিবাহিনীর নেতা রহিম। জাফর সর্বদা রহিমকে পরামর্শ দেয়। পরপর ৩ টি অপরেশনে তারা ব্যর্থ হয়েছে তবে এখনো রহিম দমে যায় নি। জাফরের কথায় খুব ভরসা পেলো রহিম। দুজনেই চুপচাপ হাটছে। হঠাৎ রহিম বলে উঠলো-
– জাফর, এবার আমাদের মুক্তি মিলবে!
– কিন্তু কিভাবে?
– আমরা এবার পাক-বাহিনীদের এই নোংরা খেলা শেষ করে দিবো। এবার শুধু তুই আর আমি ওদের মোকাবেলা করবো।
– বলিস কি পারবো তো আমরা।
– পরবো রে দেখিস সত্তিই পারবো
.
.
সকল পরিকল্পনা শেষে পরদিন গভীর রাতে দুই বন্ধু রহিম ও জাফর বাশঁ ঝাড়ের নিচে বসে আছে।
রহিম বলতে লাগলো-
-বাজে কয় টা?
-রাত ২ টা ( জাফর)
-হায়না গুলো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এখনি সুযোগ চল। (রহিম)নিশার রাত্রিতে এগিয়ে যাচ্ছে রহিম আর জাফর। দু’জনের হাতই রাইফেল। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে তাদের হাটার শব্দ ও মিলিয়ে যাচ্ছে। হাটতে হাটতে পাকিস্তানিদের ঘাটির কাছে চলে এসেছে তারা। সামনে রহিম পেছনে জাফর।
হঠাৎ পেছন থেকে দুটো গুলি এসে অকেজো করে দিলো রহিমের দুটি পা। রহিম মাটিতে লুটিয়ে পরলো। পেছন থেকে শুনতে পেলো হায়নার ডাক। স্বচোক্ষে দেখলো দেশদ্রোহী পিচাশ টাকে।
– পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ ( জাফর)
– জাফর তুই!
– হ্যা। আমি, আমিই তোদের একে একে মেরেছি। ( অট্টহাসি হেসে)
– তবে কি তুই নিজেই আছিয়া বুবুর এমন ক্ষতি করলি। না না তুই মানুষ না তুই নর পিচাশ ( থুথু নিক্ষেপ করে কাঁদতে কাঁদতে বললো)
জাফর চিৎকার করে হাসতে লাগলো আর বলতে লাগলো
– পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ
.
.
সাথে সাথেই ঘাটি থেকে পাক-বাহিনীরা বেরিয়ে আসলো আর উচ্চ স্বরে হায়না গুলো হাসতে থাকলো।
সেদিন রহিম প্রানে বেচে যায় তবে হারাতে হয়েছে তার দুটো পা এবং এক হাত।
এরপর দেশ স্বাধীন হয়েছে। হ্যা এখনো রহিম বেচে আছে। ঠিক মতো চলতে পারে না তবে হুইল চেয়ারে বসে আর শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে রহিম। এখন বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী জাফর হয়েছে মধুমতি গ্রামের চেয়ারম্যান।
কিছুদিন আগে মধুমতি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিলো। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঠাই হয় নি রহিমের। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা পেয়েছে দেশদ্রোহী জাফর। এসব বলার ও শক্তি নেই রহিমের কারন টাকা পয়সা আর ক্ষমতার দিক দিয়ে জাফর আজ অনেক উচুতে। তাই এখনো তার অশান্ত মন বিদ্রহী কন্ঠে বলতে চায়— দেশদ্রোহীরা মরে নি ওরা দেশকে বিক্রি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
জাফর : কিন্তু কিভাবে আমাদের সব পরিকল্পনাই তো পাকিস্তানিরা বুঝে ফেলছে।
রহিম: হুম, এক এক করে ৫ জন শহীদ হয়েছে। কিন্তু যেভাবেই হোক পাকিস্তানিদের এই গ্রাম থেকে বিদায় করতেই হবে।
জাফর : পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ টা অপরেশনে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। নিশ্চয়ই আমাদের সাথে মিশে কেউ ওদের খবর দিচ্ছে।
রহিম : ঠিক বলছিস জাফর। নাহ আর কেউ নায় দেশমাতাকে বাচাঁতে আমরাই লড়বো ইনশাল্লাহ।
জাফর : আমি তোর সাথে আছি।
.
.
এতোক্ষন কথা চলছিলো রহিম আর জাফরের মধ্যে । তারা দুজনই মধুমতি গ্রামের দশম শ্রেনির ছাত্র। রহিম ও জাফর দু’জনেরর মধ্যেই ছোটবেলা থেকে গভীর বন্ধুত্ব। দেশমাতৃকাকে বাচাতেই তারা দুই বন্ধু শপথ নিয়েছিলো। পাকিস্তানিদের মোকাবেলা করতেই মধুমতি গ্রামে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়েছে। সেই মুক্তিবাহিনীর নেতা রহিম। জাফর সর্বদা রহিমকে পরামর্শ দেয়। পরপর ৩ টি অপরেশনে তারা ব্যর্থ হয়েছে তবে এখনো রহিম দমে যায় নি। জাফরের কথায় খুব ভরসা পেলো রহিম। দুজনেই চুপচাপ হাটছে। হঠাৎ রহিম বলে উঠলো-
– জাফর, এবার আমাদের মুক্তি মিলবে!
– কিন্তু কিভাবে?
– আমরা এবার পাক-বাহিনীদের এই নোংরা খেলা শেষ করে দিবো। এবার শুধু তুই আর আমি ওদের মোকাবেলা করবো।
– বলিস কি পারবো তো আমরা।
– পরবো রে দেখিস সত্তিই পারবো
.
.
সকল পরিকল্পনা শেষে পরদিন গভীর রাতে দুই বন্ধু রহিম ও জাফর বাশঁ ঝাড়ের নিচে বসে আছে।
রহিম বলতে লাগলো-
-বাজে কয় টা?
-রাত ২ টা ( জাফর)
-হায়না গুলো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এখনি সুযোগ চল। (রহিম)নিশার রাত্রিতে এগিয়ে যাচ্ছে রহিম আর জাফর। দু’জনের হাতই রাইফেল। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে তাদের হাটার শব্দ ও মিলিয়ে যাচ্ছে। হাটতে হাটতে পাকিস্তানিদের ঘাটির কাছে চলে এসেছে তারা। সামনে রহিম পেছনে জাফর।
হঠাৎ পেছন থেকে দুটো গুলি এসে অকেজো করে দিলো রহিমের দুটি পা। রহিম মাটিতে লুটিয়ে পরলো। পেছন থেকে শুনতে পেলো হায়নার ডাক। স্বচোক্ষে দেখলো দেশদ্রোহী পিচাশ টাকে।
– পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ ( জাফর)
– জাফর তুই!
– হ্যা। আমি, আমিই তোদের একে একে মেরেছি। ( অট্টহাসি হেসে)
– তবে কি তুই নিজেই আছিয়া বুবুর এমন ক্ষতি করলি। না না তুই মানুষ না তুই নর পিচাশ ( থুথু নিক্ষেপ করে কাঁদতে কাঁদতে বললো)
জাফর চিৎকার করে হাসতে লাগলো আর বলতে লাগলো
– পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ
.
.
সাথে সাথেই ঘাটি থেকে পাক-বাহিনীরা বেরিয়ে আসলো আর উচ্চ স্বরে হায়না গুলো হাসতে থাকলো।
সেদিন রহিম প্রানে বেচে যায় তবে হারাতে হয়েছে তার দুটো পা এবং এক হাত।
এরপর দেশ স্বাধীন হয়েছে। হ্যা এখনো রহিম বেচে আছে। ঠিক মতো চলতে পারে না তবে হুইল চেয়ারে বসে আর শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে রহিম। এখন বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী জাফর হয়েছে মধুমতি গ্রামের চেয়ারম্যান।
কিছুদিন আগে মধুমতি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিলো। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঠাই হয় নি রহিমের। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সংবর্ধনা পেয়েছে দেশদ্রোহী জাফর। এসব বলার ও শক্তি নেই রহিমের কারন টাকা পয়সা আর ক্ষমতার দিক দিয়ে জাফর আজ অনেক উচুতে। তাই এখনো তার অশান্ত মন বিদ্রহী কন্ঠে বলতে চায়— দেশদ্রোহীরা মরে নি ওরা দেশকে বিক্রি করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।