

শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা : খুলনার বাদামতলা বিআরটিএ অফিসে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় তিন ঘণ্টার নিষ্ফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় দুদুকের অভিযানের খবর পেয়ে দালালরা দেয়াল টপকে পলিয়ে যায় এবং মোড়ল মার্কেটের অধিকাংশ দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
দুদক অফিস সুত্রে জানাগেছ, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাওনা মিয়ার নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক মোঃ আমিনুর রহমান, তপন কান্তি ঘোষ ও উপ-পরিচালক নীল কমল পাল বিআরটিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন।
তারা জানান অফিসে রেজিস্ট্রেশন, গাড়ীর কাগজপত্র তৈরী, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে ধাপে ধাপে ঘুষ দিতে হয় এমন একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং প্রতিষ্ঠানটিতে দালাল দোরাদ্র বেড়ে যাওয়ায় গতকাল রোববার (২৭ জানুয়ারী) সকাল পৌনে ১১টায় বাদামতলাস্থ শিরোমণি বিআরটিএ অফিসে প্রবেশ করে মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়ে অভাযান চালায়।
অভিযানের খবর জানতে পেয়ে দালালরা প্রতিষ্ঠানটির দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায় এবং মুহুর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় পাশ্ববর্তী মোড়ল মার্কেটের অনেক ফটোকপিরসহ বেশ কয়েকটি দোকান। দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত চলা অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করে দুদুক টীম।
স্থানিয় একাধিক সুত্র জানান বিআরটিএ অফিসে অভিযান চলাকালিন সময় অফিসের বাইরে রাস্তার উপর দাড়িয়ে দালালরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেখে গেছে। তিন ঘণ্টার অভিযান শেষে দুদুক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে সকল যানবাহনের জন্য সরকার নির্ধারিত নিবন্ধন ফি আলাদা আলাদা বোর্ডে অফিসের সামনে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপস্থিত গ্রাহকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপ-পরিচালককে মটরসাইকেলের সো-রুম থেকে মটরসাইকেল নিবন্ধন করার জন্য সরকার নির্ধারিত ফিসের থেকে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা বেশি নেওয়া হয় অভিযোগটি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সময় বিআটিএ’র উপ-পরিচালক জিয়াউর রহমান বলেন রাস্তায় চলমান ২০% ট্রাক এবং ৬০% বাস ফিডনেস ছাড়াই চলে। এ ব্যাপারে মাননীয় সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে গাড়ীর আইউশকালিন নির্ধারনের জন্য একটি নীতিমালা প্রনোয়নের কাজ চলছে। এদিনে দুদুকের উপস্থিতে প্রতিষ্ঠানটির কাজের গতী ফিরে আসে