

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তাই আমন্ত্রিত অতিথিকে অসম্মান করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না।
যারা মোদির সফরকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরি করতে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন তাদের সেই অবস্থান থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানাই। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) নিয়মিত ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ব নেতাদের বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় আগামী ২৬ মার্চ দুই দিনের জন্য বাংলাদেশে আসছেন নরেন্দ্র মোদি। কিছুদিন ধরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের বিরোধিতা করে আসছে প্রগতীশীল ছাত্রজোট ও সমমনা কয়েকটি ইসলামি দল।
প্রসঙ্গটি টেনে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত ছিল প্রধান মিত্র দেশ। তারা নানাভাবে আমাদের সাহায্য করেছে। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে সেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। তাছাড়া আমরা কোনো ব্যক্তিবিশেষকে আমন্ত্রণ জানাইনি, জানিয়েছি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে।’
বিএনপি সংগঠিত হচ্ছে, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন দাবির প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা যদি রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয় তাহলে গণতন্ত্রের জন্য সেটা তো খুব ভালো বিষয়। কিন্তু যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সংগঠিত হয় তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।