

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা স. এর মেরাজে গমনের ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা পবিত্র শবে মে’রাজ আজ। স্মৃতিবিজড়িত এ ঘটনা উপলক্ষে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে দেশব্যাপী বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে ১৪৪২ হিজরির পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন হবে।
শবে মে’রাজ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারর মসজিদ আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করবে বলে এক বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে গত বছর (১৪৪১ হিজরি) শবে মেরাজের কোনো আয়োজন করেনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এ বছর যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাত।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘মিরাজুন্নবী (সা.)’-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মুশফিকুর রহমান। আলোচনা করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা রফিক আহমাদ ও জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসার শায়খুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ।
মূলত হিজরি তথা আরবি মাস হিসেবে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে শবে মি’রাজ পালিত হয়। আগামী ২২ মার্চ রজব মাসের ২৬ তারিখ হয়। সে হিসেবেই ২২ মার্চ দিবাগত রাতে মেরাজের রাত হিসেবে গণনা হবে
লাইলাতুল মিরাজ বা মিরাজের রাতকে আমাদের দেশে সাধারণত শবে মিরাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ইসলামের আলোচনামতে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বছরের (৬২০ খ্রিস্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে হযরত জিবরাইল (আ.) এর সঙ্গে বোরাকে চড়ে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তম আকাশের ওপর আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার লাভ করেন।
মুসলমানরা এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এ রাতটি পালন করেন। তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মধ্যে এই দিবস পালনের ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েছে। তারা ইসলামে কোন দিবস পালনকে সঠিক মনে করেন না।
তবে বেশিরভাগ ওলামায়ে কেরামদের মতে, ইসলামে মিরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এ মিরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এ রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবী মুহাম্মদ (সা.)।
এ রাতে প্রত্যেক মুসলমানদের নফল নামাজ আদায় করা, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা, দান খয়রাত করা,অধিক পরিমানে তাসবিহ তাহলিল, যিকির আযকার করার পাশাপাশি তাওবা ইস্তেগফার ও কান্নাকাটি করে ইসলাম বহির্ভূত কাজে লিপ্ত না হয়ে ফযিলতপুর্ন এই রাতকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে অতিবাহিত করা ই বাঞ্ছনীয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মোতাবেক ১৪৪২ হিজরির জমাদিউল উখরা মাস ৩০ পূর্ণ হয়েছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার রজব মাস গণনা শরু হয়েছে। সে হিসাবে ২৬ রজব দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত হবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্মৃতিবিজড়িত মিরাজ উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া-মাহফিল ও মোনাজাত শীর্ষক পবিত্র শবে মেরাজ।