

গবেষণায় জালিয়াতি-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করায় দুইটি পত্রিকার চার সাংবাদিক ও একজন প্রকাশকের নামে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
উকিল নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সম্পাদক অমিত হাবিব, প্রকাশক মাহির আলী খান রাতুল, একই পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তানভীর হাসান, দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক কাজী এরতেজা হাসান ও পত্রিকাটির সিনিয়র রিপোর্টার উৎপল দাস।
আর পড়ুন-
সামিয়া রহমানের পর এবার সাদেকা হালিমের বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতির অভিযোগ
নিজেকে বলির পাঁঠা বললেন সামিয়া রহমান
অধ্যাপক সাদেকা হালিমের আইনজীবি ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রেরিত উকিল নোটিশে দাবি করা হয়, তার ক্লায়েন্টের পূর্ব অর্জিত সম্মান, সামাজিক অবস্থান ও জনসম্মুখে অপমান করতে অন্ধভাবে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পত্রিকা দুটি।
নোটিশে বলা হয়, সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশকারীদের কাছে তার পেশাগত সততা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনের কোনো এখতিয়ার নেই।
অভিযোগ আছে, ২০১২ সালে অধ্যাপক সাদেকা হালিম রচিত ‘পার্টিসিপেশন অব উইমেন ইন অ্যাকুয়াকালচার ইন থ্রি কোস্টাল ডিসট্রিক অব বাংলাদেশ : অ্যাপ্রোচেস টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল লাইভলিহুড’ শিরোনামের গবেষণা প্রবন্ধটি কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ থেকে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে লেখার অভিযোগ ওঠে। গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করার সফটওয়্যার টার্নইটইনে যাচাইয়ে গবেষণায় ৮৮ শতাংশ হুবহু কপি করে লেখার প্রমাণ মিলেছে।
টার্নইটইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রবন্ধটির ৮৮ শতাংশ নকলের মধ্যে Idosi.org নামে একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে ৬১ শতাংশ নকল করা হয়েছে। ওই নিবন্ধটি ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
এদিকে অধ্যাপক সাদেকা হালিমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যাচায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে বুধবার (৩ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের একাধিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। চৌর্যবৃত্তির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।