

আজ সেই ভয়াল ২৪ এপ্রিল। ২০১৩ সালের এই দিনে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত রানা প্লাজা নামের ৯ তলা ভবনটি ধসে পড়ে।
পোশাক কারখানা থাকায় ভেতরে কয়েক হাজার শ্রমিক অবস্থান করছিলেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। শ্রমিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো শুরু থেকেই বলে আসছে, এটি দুর্ঘটনা ছিল না, ছিল হত্যাকাণ্ড।
আগের দিনই ভবনটিতে স্পষ্ট ফাটল দেখা দিয়েছিল। তাতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ভবনের মালিক রানা কাজে না আসলে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন। একপ্রকার বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরদিন কাজে গিয়েছেন শ্রমিকরা।
ভয়াল ঘটনায় সরকারি হিসেবে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ১১২ জন শ্রমিক। বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা ১ হাজার ১৭৫। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২ হাজার শ্রমিক।
হাত-পা হারিয়ে স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে এখনো তারা অনেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় করা মামলার বিচারকাজ এখনো শেষ হয়নি।
এই ঘটনায় মোট ৪টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে কেবল ১টির। বাকি ৩ মামলার বিচারকাজ এখনো সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে ঝুলে আছে।
শ্রমিক নেতারা বলছেন, ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নয়, বরং সরাসরি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে মামলা পরিচালনা করা প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলা এই ট্র্যাজেডির ৮ বছর হলেও হতাহতদের পরিবারের অনেকে এখনো কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি।
পাশাপাশি এখনো কর্মহীন রয়েছেন বেঁচে যাওয়াদের অনেকে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, বেঁচে যাওয়া শ্রমিকদের প্রায় ৫১ শতাংশ এখনো কর্মহীন।