অবহেলা ও অযত্নে ধ্বংস হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী আতিয়া মসজিদ

প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২১

দশ টাকার নোটে যে ঐতিহাসিক মসজিদের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটার নাম আতিয়া জামে মসজিদটি। মসজিদটির অবস্থান টাঙ্গাইলে দেলদুয়ার উপজেলায়।

এই মসজিদ সবার কাছে কম-বেশি পরিচিতি। তবে মসজিদটি আজ অবহেলায় ও অযত্নে ধ্বংস হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী দ্রুত এই মসজিদটি সংস্করের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, আতিো জামে মসজিদটি ১৬০৮ সালে আতিয়া এলাকার শাসনকর্তা সাঈদ খান পন্নী নির্মাণ করেন।

মসজিদটির দৈষ্য ১৮.২৯ এবং প্রস্থ ১২.১৯ মিটার। এই মসজিদটি ১৮৩৭ সালে রওশন খাতুন চৌধুরানী এবং ১৯০৯ সালে আবুল আহমেদ খান গজনবী সংস্কার করেন।

বাংলাদেশে এসব পুরোনো মসজিদগুলো আমাদের ঐতিহ্য ও ইতিহাস। টাঙ্গাইল জেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আতিয়া জামে মসজিদ। বাংলাদেশ সরকার মসজিদটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করে।

এবিষয় আতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, ‘টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় আতিয়া গ্রামে চারশত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য জামে মসজিদটি অবস্থিত।

টাঙ্গাইল সদর থেকে ৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান। মসজিদটি বর্তমানে চুনকামের অভাব, অবহেলা, অযত্নে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি স্থানীয় সংসদ সদস্যর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করবো।’

আতিয়া জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন বলেন, ‘আমি দীর্ষদিন এই মসজিদে আছি। মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়। সরকার মসজিদটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করেছে বিধায় এই মসজিদটি ব্যাক্তি উদ্যেগে উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব হয় না।’

স্থানীয় সামাদ আলী বলেন, ‘আমাদের আতিয়া এলাকার ঐতিহ্য ও ইতিহাসে স্থান পাওয়া এই মসজিদটি দশ টাকার নোটে দেখা যেত। কিন্তু এখন আর দেখা যায় না। তাই আমাদের দাবি আবার দশ টাকা অথবা একশত টাকার নোটে এই মসজিদের ছবি ব্যবহার করা হোক।’

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মসজিদটির মিনারে ফাটল ধরেছে। ফলে বৃষ্টি হলে পানি ঝরে। দ্রত সংস্করের প্রয়োজন। আর দেয়ালগুলো দ্রত সংস্কার করা না গেলে কারুকাজ নষ্ট হয়ে যাবে।’

আইএ/

মন্তব্য করুন